চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো–নামানোর তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় তিন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ বছরই চুক্তি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো ডেনমার্কের এপি-মুলার মায়েরস্ক, সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পের স্রোত প্রতিরোধক তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ বছরের শেষে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের আওতায় প্রকল্পের দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার চুক্তি হবে। এর মধ্যে কনটেইনার টার্মিনাল–১ সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং কনটেইনার টার্মিনাল–২ আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কাজ এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০৩১ সালে বে টার্মিনাল চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, এই দুটি ছাড়াও সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এ বছর লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার চুক্তি হবে ডেনমার্কের এপি–মুলার মায়েরস্কের সঙ্গে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই বিনিয়োগ করে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে।

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিউমুরিং টার্মিনালটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ টার্মিনাল। এ টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য লাভজনক হবে কি না এবং বাংলাদেশের বন্দর পরিচালনার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে কি না, তা যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় বন্দর পর্ষদের সদস্য মো.

হাবিবুর রহমান, কমোডর কাওছার রশিদ, ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ