গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা পাভেল সিকদারের সনদ তুলে দিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

ছাত্রলীগ নেতা পাভেলের বিরুদ্ধে গত বছর জুলাইয়ে গোবিপ্রবিতে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি, সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন  ছাত্রলীগের নেতা পাভেল সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক নিঘাত রৌদ্রের উপর হামলা চালিয়ে তার হাত ভেঙে দেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় নারী শিক্ষার্থী সুবর্ণাকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেন তিনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি রাসেল শিকদারের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত ২৬৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শাস্তি

গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল

এসব ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের জেরে পাভেলের সনদ আটকে যায়। তবে সম্প্রতি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সহায়তায় তিনি সনদ উত্তোলনের চেষ্টা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে তা পুনরায় আটকে দেওয়া হয়।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল বলেন, “১৬ জুলাইয়ের পর সারাদেশে ছাত্রলীগ হিংস্র হয়ে উঠলেও গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের অপকর্ম বহু পুরনো। হল দখল থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাসহ সবকিছুতেই তারা জড়িত। শফিক ছাত্রলীগের হয়ে অতীতে অনেক সহিংসতায় অংশ নিয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বের শেল্টারে শফিকসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের দোসরদের পুনর্বাসন ছাত্রদলের জন্য আত্মঘাতী।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইনজামাম রাশু বলেন, “ছাত্রদলকে আহ্বান জানাই, এ ধরনের দোসর ও তাদের আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তা না হলে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা হারাবে।”

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতির বাইরে বিভাগের বড় ভাইদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে। আমি শুধু সাহায্য করতে চেয়েছি। যদি তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থেকেই থাকে, তাহলে এতদিনেও প্রশাসন কেনো ব্যবস্থা নেয়নি?”

গোবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনো প্রমাণ পাইনি। বিষয়টি ষড়যন্ত্র কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।”

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র গ ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ