আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
Published: 2nd, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে ওই পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এ সময়টা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থ করতেও পারে।’
শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারত্ব ছাড়া এটি সম্ভব নয়। সফল হলে এমন অংশীদারত্ব আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দেবে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল বা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পড়লেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস চুক্তির পর যে পুরোনো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে উঠেছিল এবং যা ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তা এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
শফিকুল আলম লিখেছেন, সেই যুগের সবচেয়ে বড় বিজয়ীরা ছিল জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া; যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ধীরে ধীরে এই পথে অগ্রসর হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে ছিল।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এখন হয়তো অবশেষে বাংলাদেশের সময় এসেছে। আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারব?’
রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, তবে লজিস্টিক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জই হতে পারে সবচেয়ে বড় বাধা। বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহনের সক্ষমতা শিগগিরই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সে আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়বে। সূত্র-বাসস
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ‘ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র পাশে আছে’
ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ‘ফোরদো’-তে হামলা চালানোর ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেরজোগ। তার এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হেরজোগ বলেন, “ফোরদো একটি গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই কেবল এমন বোমা আছে যা সেখানে আঘাত হানতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিরোধে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।”
ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে গভীরভাবে ভূগর্ভে অবস্থিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্য ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হতে পারে।
এদিকে, ইরান এখনো বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
ঢাকা/ইভা/ফিরোজ