Samakal:
2025-09-18@01:35:39 GMT

রক্তবর্ণ চাঁদ

Published: 2nd, May 2025 GMT

রক্তবর্ণ চাঁদ

আমরা সাধারণত চাঁদকে রাতের পর রাত তারার আকাশে রুপালি থালার মতো ঝুলে থাকতে দেখি। তবে মাঝেমধ্যে এটি কিছু অসাধারণ রূপ ধারণ করে, যা তার অর্ধচন্দ্র বা পূর্ণিমার অবস্থার চেয়েও আশ্চর্যজনক। কখনও কখনও এটি সম্পূর্ণরূপে অপ্রত্যাশিত লাল রং ধারণ করে। এটিকে অনেকটা অতিপ্রাকৃত কিছু বা বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনের প্রভাব বলে মনে হতে পারে; কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন– এই কথিত ‘ব্লাড মুন’ কোনো অশনিসংকেত নয়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
ব্লাড মুন আসলে কী?
জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা জানান, চাঁদ শুধু একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় লাল হয়। যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ প্রায় সরলরেখায় সারিবদ্ধ হয় এবং চাঁদ সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর ছায়ায় 
ঢেকে যায়। ফলে সৃষ্ট লাল আভাযুক্ত চাঁদ, যা শুধু এই ছায়াবৃত অবস্থায় দৃশ্যমান তাকে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।
ব্লাড মুন তুলনামূলকভাবে বিরল। গড়ে প্রতিবছর এক থেকে তিনটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়। তবে কোনো কোনো বছর একটিও হয় না। আবার সব চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর সব অংশ থেকে দেখা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ দৃশ্যমান পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে। সেই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়েছিল। কখনও কখনও এটি মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। তার আগে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ২০২২ সালে।
চাঁদ কেন লাল হয়?
টোলেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষক জিলিয়ান বর্নাক বলেন, ‘পৃথিবীর ছায়ায় রং থাকাটা অদ্ভুত। কারণ আপনি ভাবতে পারেন, পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে আলো আটকে দেয়। পৃথিবী আসলে এমনটাই করে। সব দোষ আমাদের বায়ুমণ্ডলের।’ এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘একটি সহজ বিজ্ঞান পাঠের জন্য প্রস্তুত হোন। প্রথমে আপনাকে যা জানতে হবে তা হলো– বাতাস আলোকে প্রতিসরণ বা বাঁকাতে পারে। একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে, সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সরাসরি আসা কিছু আলো বেঁকে যায় এবং পৃথিবীর ছায়ায় পুনঃনির্দেশিত হয়। পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে অন্ধকার অংশ, যেখানে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ অবস্থান করে তাকে বলা হয় আম্ব্রা।’ জিলিয়ান বলেন, ‘সূর্যের রশ্মি বিভিন্ন রঙের আলোর তরঙ্গ দিয়ে তৈরি। নীল আলোর তরঙ্গ সবচেয়ে ছোট এবং পৃথিবীতে আঘাত করলে তা ছড়িয়ে পড়ে; কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গ দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এই আলো ছায়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আপনি বলতে পারেন, পৃথিবীর ছায়ায় সবসময় গ্রহজুড়ে একই সময়ে ঘটতে থাকা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের একটি ক্ষুদ্র অংশ থাকে। যখন এই লাল আলো আম্ব্রায় চাঁদে আঘাত করে, তখন চাঁদ লাল দেখায়। এটিই ব্লাড মুনের কারণ!’
ব্লাড মুন কতটুকু লাল হয়?
একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রং গাঢ় কমলাবর্ণ থেকে লালচে হয়। মজার বিষয় হলো– প্রতিটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় এই বর্ণ কিছুটা পরিবর্তিত হয়। কারণ প্রতিবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু পার্থক্য থাকে। আকাশে দূষণ, মেঘ, ধুলো বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কণার কারণেও এই পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান লাডা। পরবর্তী ‘ব্লাড মুন’ হবে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর, যা এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশে দৃশ্যমান হবে। যুক্তরাষ্ট্রে দৃশ্যমান পরবর্তী ব্লাড মুন হবে আগামী বছরের ৩ মার্চ।
নাসা জানিয়েছে, ব্লাড মুন দেখতে আপনার কোনো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। একমাত্র জিনিস যা বিষয়টি জটিল করতে পারে, তা হলো মেঘ।v
রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান