আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি মঙ্গলবার
Published: 4th, May 2025 GMT
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের আজ রোববারের কার্যতালিকায় ১৩ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। ক্রমানুসারে বিষয়টি উঠলে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ এক দিনের জন্য বিষয়টি মুলতবি রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা ও অনীক আর হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল বিভাগ আগামী মঙ্গলবার লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সেদিন শুনানি হবে।’
আরও পড়ুন২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না, জানা যেতে পারে আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৪দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা পৃথক মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে।
গত ১৩ মার্চ আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। চেম্বার আদালত সেদিন আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী।
..২১ আগস্ট ২০২২
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র শ ন ন র জন য র ষ ট রপক ষ ড স ম বর ব চ রপত আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় ‘অ্যামিকাস কিউরি’ নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে এই নিয়োগ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলম (৪০)।
শুনানি শেষে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের বলেন, বিচারের স্বচ্ছতা, আসামিদের আবার সুযোগ দেওয়া ও আইনের সঠিক ব্যাখ্যা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল আজ একটি আদেশ দিয়েছেন। সেটি হলো, এই মামলায় মতামত গ্রহণের জন্য, ট্রাইব্যুনালকে সহায়তার জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে এই নিয়োগ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জুন।
মামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গাজী মোনাওয়ার বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মামলা তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় এই দুই আসামির কিছু কথোপকথন তদন্ত সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়। সেখানে এক আসামি অপরজনকে বলছেন, ‘২২৭ জনকে হত্যা করার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ শুধু তা–ই নয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও হুমকিস্বরূপ কথাবার্তা কথোপকথনে প্রকাশিত হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা রেকর্ডটি সংগ্রহ করেন। সেটি সঠিক কি না, তার যাচাই প্রতিবেদন তিনি গ্রহণ করেন। এতে দেখা গেছে, কথোপকথন এই দুজন আসামির।
গাজী মোনাওয়ার বলেন, প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জবাব দেননি। স্বচ্ছতার জন্য তাঁদের হাজির হতে ট্রাইব্যুনাল দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আজ এ বিষয়ে শুনানি বা আদেশের দিন ধার্য ছিল। দুই আসামির কেউ আজও ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি। ট্রাইব্যুনাল আজকেই আদেশ দিতে পারতেন, আইন সেটি কাভার করে। কিন্তু স্বচ্ছতা, আসামিদের আবার সুযোগ দেওয়ার জন্য, আইনের সঠিক ব্যাখ্যা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল আজ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।