ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালনা কমিটির ৬ষ্ঠ কর্পোরেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর নগর ভবনে বুড়িগঙ্গা হলে এ সভা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ জন সদস্য সভায় অংশ নেন।

সভার শুরুতে গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত পঞ্চম কর্পোরেশন সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ফুলবাড়িয়া স্টপওভার বাস টার্মিনাল, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল এর খাস আদায়ে কাঙ্খিত দর না পাওয়ার কারণে সরকারি হাট বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালা-২০১১ এর আলোকে ইজারার দর নতুনভাবে পুনঃমূল্যায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রতিবেদন প্রেরণের অনুমতি দেওয়া হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের ঐচ্ছিক তহবিল খাত হতে আবেদনের প্রেক্ষিতে এককালীন আর্থিক অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়া ব্যবসা শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ৫টি সেবা একক আবেদনে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সমাপনী বক্তব্যে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়া বলেন, “কর্পোরেশন সভায় নাগরিকদের প্রাধান্য দিয়ে নাগরিকদের সেবা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। আসন্ন ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে সাথে মাগরিবের আধাঘণ্টা আগে ও পরে বাসাবাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে রাখা ও বাসাবাড়ির ভেতরে যেন পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞাসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাক্সিম গোর্কির আবাসস্থলে

মস্কোর আকাশে আজ মেঘ ঘনিয়েছে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এমনিতে গরমকাল, তবে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসছে। মস্কোতে আমার দিনগুলো উড়ে উড়ে পার হয়ে যাচ্ছে। অল্প দিন হাতে আছে রাশিয়ায়। এর মাঝে কত কিছু যে দেখার বাকি!

আমি এসেছিলাম আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বাড়িতে। রাশিয়ার বিখ্যাত এই লেখক পাঁচবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েও পুরস্কার জেতেননি। এমন অসামান্য লেখকের প্রাসাদতুল্য বাড়ির সামনে এসে দেখি দুয়ার তালাবদ্ধ। আজ আর দুয়ার খুলবে না। দোতলা এই বাড়িটিতে লেখক জীবনের শেষ কয়েক বছর বসবাস করেছিলেন। বাড়ির সামনে প্রশস্ত আঙিনা। সেখানে উঁচু উঁচু গাছ অন্য পাশ থেকে বাড়িকে ঢেকে দিয়েছে। বাড়ির চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।

প্রাচীন এই বাড়ির আশপাশে ঘুরেফিরে আবার ফিরে গেলাম। আজ তিনি দুয়ার না খুললে কাল নিশ্চয়ই খুলবেন। রাশিয়ার অন্যান্য বিখ্যাত লেখকের বাড়ির মতো তাঁর বাড়িটিকেও মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় রুশ লেখক।

আগের দিন লেখকের হাউস মিউজিয়াম বন্ধ ছিল। তাই দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু আমি হচ্ছি বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী ধরনের মানুষ। এত সহজে এ বাড়ি না দেখে আমি মস্কো ছাড়ব না।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বয়স যখন চব্বিশ তখন এক পত্রিকায় লেখা পাঠানোর সময় আলেক্সেই লেখকের নামে নিজের নাম লেখেন ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’। রুশ ভাষায় ম্যাক্সিম শব্দের অর্থ—তিক্ত। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর তিক্ততার স্বাদ অল্প বয়সে গ্রহণ করায় তিক্ত নামেই পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ ১৮৬৮ সালে রাশিয়ার নিঝনি নভোগরদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর দিদিমা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাখেন। কিন্তু বারো বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর বছর পাঁচেক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। কখনো পেট চালানোর জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজ করতে হয়েছে। পথেই থাকতে হয়েছে। এ সময়ে আলেক্সেই মুচির কাজও করেছিলেন।

ম্যাক্সিম গোর্কির বাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ