এডিস মশা প্রতিরোধে সন্ধ্যায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান ডিএসসিসি প্রশাসকের
Published: 5th, May 2025 GMT
ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা প্রতিরোধে সন্ধ্যায় নগরবাসীকে বাসাবাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। সন্ধ্যায় মাগরিবের আধা ঘণ্টা আগে ও পরে নগরবাসীকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি পরিচালনা কমিটির ষষ্ঠ করপোরেশন সভার সমাপনী বক্তব্যে নগরবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান প্রশাসক। ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এ সভা হয়।
সভায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি (প্রশাসক) মো.
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ফুলবাড়িয়া স্টপ ওভার বাস টার্মিনাল ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালের কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ‘সরকারি হাট বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালা-২০১১’–এর আলোকে টার্মিনাল দুটির সরকারি দর নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রতিবেদন পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসকের ঐচ্ছিক তহবিল খাত থেকে বিভিন্ন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় পাঁচটি সেবা একক আবেদনের মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করপোরেশন সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পরিচালনা কমিটির ২৫ জন সদস্যসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান ও সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞাসহ বিভাগীয় প্রধান ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় সড়কে ভাসমান দোকানের দাপট, যানজটে নাভিশ্বাস নগরবাসীর
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত সড়কটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত পথ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। এই সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল করে বসেছে ভাসমান দোকান। এতে যানজট আরো বেড়েছে।
ফুটপাত থেকে সড়কের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভ্যানগাড়ি, ফল-সবজির পসরা ও দোকানের মালপত্র রাখা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রিকশার স্থায়ী ভিড়। ফলে পুরো এলাকা এখন অস্থায়ী রিকশা স্ট্যান্ডের মতো হয়ে গেছে।
সরেজমিনে রাণীরবাজার এলাকায় দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে সারি সারি ভ্যানগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। মাটিতে সবজি সাজানো এবং দোকানের মালপত্র ফুটপাতে ফেলে রাখা। এরই সঙ্গে যাত্রী ওঠানোর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য রিকশা। সব মিলিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। এটি যেন সড়ক নয়, কোনো কাঁচা বাজার। অথচ প্রতিদিন চলাচলের জন্য কয়েক হাজার মানুষ এই সড়কের ওপরই নির্ভরশীল।
এই পথের ওপর নির্ভরশীল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিসিক শিল্প এলাকার ট্রাক, অশোকতলা, বাগিচাগাঁও, তালপুকুরপাড় ও ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দারা। আশপাশের কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্কুল বা কলেজে যাওয়ার সময় পাঁচ মিনিটের পথও কখনো কখনো আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লাগে। অনেকে হেঁটেই স্কুল বা অফিসে পৌঁছাতে বাধ্য হন। যানজটের কারণে অফিসগামী মানুষদের অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ক্রেতা সঙ্কটে পড়েছেন তারা। যানজটের কারণে ক্রেতারা দোকানে প্রবেশ করতে চান না। ফলে ব্যবসায়ও ক্ষতি হচ্ছে।
সড়ক ব্যবস্থাপনায় আরো সমস্যা সৃষ্টি করছে ট্রাক চলাচল। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিসিক শিল্প এলাকার ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সারাদিনই বড় ট্রাক চলাচল করছে এই সড়ক দিয়ে। একবার ট্রাক উঠলেই পুরো সড়ক কার্যত অচল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে গাড়িচালক পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন।
নগরবাসী অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান ও আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহ আলম বলেন, “সড়ক দখল করে কোনো ভাসমান দোকান বসানো হবে না। শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
ঢাকা/রুবেল/এস