হাওর ও জলাভূমি অধিদপ্তরের ১০ম গ্রেডের লিখিত পরীক্ষা ১৯ মে
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। লিখিত পরীক্ষা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পিএসসির মাল্টিপারপাস হলে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনকারী প্রার্থীদের কমিশনের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ টেলিটক লিমিটেডের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রসহ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে আসছে কোটাবিহীন শিক্ষক নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি০৫ মে ২০২৫বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। লিখিত পরীক্ষায় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে ৪টি বিষয়ের জন্য ৪টি পৃথক পৃথক উত্তরপত্র প্রদান করা হবে। প্রতিটি উত্তরপত্রে বিষয়ের নাম ও বিষয় কোড অবশ্যই লিখতে হবে। একই উত্তরপত্রে একাধিক বিষয়ের উত্তর প্রদান করলে উত্তরপত্র বাতিল হবে। প্রার্থীরা কেবল উত্তরপত্রের ১ম অংশের প্রয়োজনীয় ঘরগুলো পূরণ করবেন। উত্তরপত্রের ২য় ও ৩য় অংশে কোনো কিছু লিখবেন না, লিখলে উত্তরপত্র বাতিল হবে। প্রার্থীদের বাংলা-৪০, ইংরেজি-৪০, সাধারণজ্ঞান-৪০ এবং প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান/গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)-৮০ নম্বরসহ সর্বমোট ২০০ নম্বরের ৪ ঘণ্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্তের গুরুতর (Substantive) ঘাটতি পাওয়া গেলে মৌখিক পরীক্ষার পূর্বে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড, জিপিএ ৩.৩ হলে আবেদন৩ ঘণ্টা আগে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ পর ক ষ য় অ শ গ রহণ করত পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো শিক্ষক তার স্ত্রী-সন্তান-শিক্ষার্থীদের দিয়ে এসএসসির খাতা দেখালে জেল
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার খাতা অনেক সময় স্কুল বা কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়নের অভিযোগ ওঠে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। অনেকে আবার পরিবারের সদস্য; যেমন-স্ত্রী, সন্তান ও ভাই-বোনকে দিয়ে খাতা দেখান। তারা শিক্ষার্থীদের নম্বর দেন। আইনগতভাবে এ ধরনের কাজ অবৈধ এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ ধরনের কাজ করলে বা করার চেষ্টা করলে সেই শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ড।
আজ সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ‘অতীব জরুরি’ চিঠিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
বোর্ড সূত্র জানায়, মূলত এসএসসি পরীক্ষার খাতা বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যেই এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ গোপন সূত্র থেকে আসায় সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় বিষয়। এটি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে (স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন) দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করানো যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কাজ পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সব পরীক্ষককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।