জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হবে স্মৃতিস্তম্ভ
Published: 6th, May 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ডিএসসিসি স্মৃতিস্তম্ভের নকশাও চূড়ান্ত করেছে। দ্রুতই এটির নির্মাণকাজ শুরু ও শেষ করতে চায় ডিএসসিসি।
জানা যায়, গত নভেম্বরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ওসমানী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বিষয়ে সরকারের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএসসিসিকে।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.
ইতোমধ্যে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে তৈরি করা নকশায় দেখা গেছে, স্তম্ভের মূল স্থাপনা হবে ৯০ ফুট উঁচু। ব্রোঞ্জ দিয়ে এটি তৈরি করা হবে। এটিতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নাম খোদাই করে লেখা থাকবে। এছাড়া স্তম্ভের সম্মুখভাগ ঘিরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হবে। সচিবালয় সন্নিকটে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের পাশে সুবিধাজনক স্থানে এটি তৈরি করা হবে। আর উদ্যানের প্রবেশমুখে তৈরি করা হবে ২৪–এর আদলে একটি ফটক। খুব শিগগিরই এটি তৈরির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানা গেছে।
ডিএসসিসির এক প্রকৌশলী জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ই গণঅভ য ত থ ন স ম ত স তম ভ ড এসস স ওসম ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নেতাদের ওপর হামলায় জাকসুর নিন্দা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নেতাদের উপর পতিত স্বৈরাচারদের পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
ফুটবল খেলা শেষে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭
নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সুজা
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিউইয়র্কে পৌঁছান। বিমানবন্দরে প্রতিনিধি দলে থাকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অগ্রগামী ভূমিকা পালনকারীদের ওপর হামলা চালায় পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, যে জুলাই আমাদের নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগ দিয়েছে, সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রগামী ভূমিকা পালনকারীদের উপর হামলা চরম নিন্দনীয়। এ হামলা শুধু নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির উপর নয়, আমরা মনে করি এটি দেশের নিরাপত্তার উপর হামলা। রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা কোনো ব্যক্তিবর্গের উপর এ রকম ন্যাক্কারজনক হামলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এর মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগ আবারো প্রমাণ করলো, তারা একটি উগ্র ও সন্ত্রাসী দল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নারী নেতৃত্বের উপর অকথ্য গালিগালাজ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উগ্র বহিঃপ্রকাশ। দেশের ভেতরেও এই উগ্র ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারকে এই নিষিদ্ধঘোষিত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, জুলাই যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের উপর বারবার হামলা প্রমাণ করে সরকার ও তার নিরাপত্তা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এক্ষেত্রে দেশের মধ্যকার প্রশাসন ও দূতাবাসগুলোর অবহেলা সুস্পষ্ট। সুতরাং অনতিবিলম্বে প্রশাসনের মধ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নয়তো নতুন বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গিকারবদ্ধ ছাত্রজনতা তার দাবি আদায়ে আবারো সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী