যুবলীগের ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনজন গ্রেপ্তার
Published: 7th, May 2025 GMT
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরপাড়ার মো. কায়সারের ছেলে আনোয়ার শাকিল (২৪), শহরতলীর লিংক রোডের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মুবিনুল হকের ছেলে শরীফ হোসাইন (২৭) ও মৃত মনজুর আলমের ছেলে আনিসুর রহমান (২৮)। শরীফ হোসাইন ছাত্রলীগের কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আনিসুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ছয়টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী সৈকত সড়কে ঝটিকা মিছিল করে জেলা যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ওই সময় সড়কটি ফাঁকা ছিল। অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। মাস্ক পরা ছিল মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তির মুখে। মিছিল শেষে সুগন্ধা পয়েন্টে কয়েক মিনিটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদার। সেখানে লোকসমাগম বাড়তে থাকলে বিক্ষোভকারীরা চলে যান। ঝটিকা মিছিলের ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ জনের মিছিলের সামনে একটি ব্যানার। তাতে লেখা ‘শেখ হাসিনা আসবেই, বাংলদেশ (বানান ভুল) হাসবেই’; আয়োজনে বাংলাদেশ যুবলীগ-কক্সবাজার জেলা। মিছিলের অগ্রভাগে থাকা মোনাফ সিকদারের পরনে ছিল লাল টি-শার্ট।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন নিহত দুজনের আপন চাচা মো. আবদুল আওয়াল (৬০), তাঁর মেয়ে শাহনাজ বেগম (২৮) ও তাঁর স্বামী শিপন শিকদার (৩২)। পরে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে রায়পুরার পশ্চিম পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ওই এলাকার মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে হুরুন আলী ওরফে হুরা (৩০) ও শাকিল মিয়া (২২)। তাঁরা দুজনই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মা জোসনা বেগম ১১ জনকে আসামি করে রোববার রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ালের স্ত্রী শরীফা বেগম (৫২) এবং দুই মেয়ে আরজিনা আক্তার (২২) ও আসমা আক্তারকে (১৮) থানায় নেওয়া হয়েছিল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি আওয়ালের ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজন বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ১১ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।