কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরপাড়ার মো. কায়সারের ছেলে আনোয়ার শাকিল (২৪), শহরতলীর লিংক রোডের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মুবিনুল হকের ছেলে শরীফ হোসাইন (২৭) ও মৃত মনজুর আলমের ছেলে আনিসুর রহমান (২৮)। শরীফ হোসাইন ছাত্রলীগের কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আনিসুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ছয়টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী সৈকত সড়কে ঝটিকা মিছিল করে জেলা যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ওই সময় সড়কটি ফাঁকা ছিল। অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। মাস্ক পরা ছিল মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তির মুখে। মিছিল শেষে সুগন্ধা পয়েন্টে কয়েক মিনিটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদার। সেখানে লোকসমাগম বাড়তে থাকলে বিক্ষোভকারীরা চলে যান। ঝটিকা মিছিলের ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ জনের মিছিলের সামনে একটি ব্যানার। তাতে লেখা ‘শেখ হাসিনা আসবেই, বাংলদেশ (বানান ভুল) হাসবেই’; আয়োজনে বাংলাদেশ যুবলীগ-কক্সবাজার জেলা। মিছিলের অগ্রভাগে থাকা মোনাফ সিকদারের পরনে ছিল লাল টি-শার্ট।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, ঝটিকা মিছিলের ভিডিও দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে গভীর রাতে তিনজনকে শহরের বিভিন্ন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোনাফ সিকদারসহ অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার অভিযোগ, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বল গ র শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ রাতে ব্যালন ডি’অর: কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের

প্যারিসের বিখ্যাত থিয়াত্র দ্যু শাতলে-তে আজ ঘোষণা করা হবে ফুটবলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান, যা সরাসরি দেখা যাবে সনি স্পোর্টস টেন ১ চ্যানেলে। চলুন দেখা যাক, এ পুরস্কার কারা দেয়, কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের—

সেরাদের জন্য ফিফার পুরস্কার আছে, আছে উয়েফারও। কিন্তু ফুটবলে এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার মনে করা হয় ব্যালন ডি’অরকে। ১৯৫৬ সাল থেকে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এর পর থেকে গত সাত দশকে এই পুরস্কার নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, তবে এর আবেদন কমেনি একটুও। এখনকার ফুটবলে এত পুরস্কারের ভিড়েও তাই ব্যালন ডি’অর ফুটবলারদের কাছে সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত।

কীভাবে শুরু

দুই ফরাসি ক্রীড়া সাংবাদিক—গ্যাব্রিয়েল আনো আর জ্যাক ফেরাঁর মাথায় প্রথমে বছরের সেরা ফুটবলারকে এ রকম একটা পুরস্কার দেওয়ার ভাবনা আসে। দুজনই ছিলেন লেকিপের সাংবাদিক। ফেঁরা আবার ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। শুধু ব্যালন ডি’অরই নয়, এখন যেটা চ্যাম্পিয়নস লিগ, যে টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল ইউরোপিয়ান কাপ নামে, সেটাও এই দুই সাংবাদিকের ভাবনাপ্রসূত। দুজনের ভাবনা বাস্তবায়িত হতে বেশি সময় লাগেনি, ১৯৫৬ সাল থেকে ফ্রান্স ফুটবল বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।

ফ্রান্স ফুটবলের প্রচ্ছদে ২০০৫ সালের পুরস্কারজয়ী রোনালদিনিও

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই পুরুষের হাতাহাতি
  • আজ রাতে ব্যালন ডি’অর: কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের