ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই দেশে ৩৬ জন নিহত
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
বিবিসি নিশ্চিত হয়ে জানিয়েছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। দিল্লির বিমান হামলার জবাবে দেশ দুটির মধ্যে কার্যত সীমান্ত হিসেবে পরিচিত এলাকায় পাকিস্তান যখন ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে, তখন এই ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয়রা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে পুঞ্চ এবং মেন্ধার এলাকায়। বাড়ি এবং দোকানপাট সহ অনেক ভবন গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুঞ্চের স্থানীয় সাংবাদিক জামরুদ মুঘল ফোনে বিবিসিকে বলেন, "বুধবার রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি"।
‘মানুষ পুরো রাত ঘুমাতে পারেনি। সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেছে," বলেন মুঘল। "আমাদের স্থানীয় হাসপাতাল এখন আহত মানুষে ভরে গেছে।’
পাকিস্তানে বসবাসরত জাতিসংঘ ঘোষিত একজন সন্ত্রাসী মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, ভারতের বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।
বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) নামে যে জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব তিনি দেন, বুধবার তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।
জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নারী সহপাঠীকে হলের কক্ষে নিয়ে যাওয়ায় ছাত্রের আসন বাতিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের কক্ষে রাতের বেলা এক নারী সহপাঠীকে নিয়ে যাওয়ায় এক ছাত্রের আসন বাতিল করা হয়েছে। ৪ জুন নারী সহপাঠীকে হলের কক্ষে নিয়ে যান ওই ছাত্র। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের আসন বাতিল করা হয়। আজ শনিবার বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি সত্য। হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে থাকায় জবাবদিহি করা যায়নি। পরে ক্যাম্পাস খোলার পর তাঁকে ডেকে জবাবদিহি করা হয়। তিনি ঘটনাটি স্বীকার করায় তাঁর আসন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের দুজন শিক্ষার্থী ও এক নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, ৪ জুন ভোরে তাঁদের সামনে দিয়ে একজন শিক্ষার্থী একটি সাইকেল চালিয়ে হল থেকে বের হচ্ছিলেন। তাঁর সাইকেলের পেছনে একজন নারী বসে ছিলেন। তাঁর গায়ে শার্ট আর মাথায় ক্যাপ পরা ছিল। বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগায় তাঁকে ধরার চেষ্টা করেও তাঁরা ব্যর্থ হন।
আসন বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে তিনি কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, ৩ জুন তাঁর জন্মদিন ছিল। সেদিন জন্মদিন উদ্যাপন করতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। অন্যদিকে তাঁর নারী সহপাঠীকে ঈদের ছুটির জন্য মেস থেকে ৩ তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলা হয়। সহপাঠী মেসে যেতে পারবেন না বলে তাঁকে রাখার অনুরোধ করেন। পরে তাঁকে রাতে হলে নিয়ে আসেন। মূলত তাঁকে নিরাপত্তা দিতে তিনি হলে নিয়ে এসেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপকমিটির সভাপতি ও প্রক্টর মাহবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হল প্রশাসন মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে হল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত করেছে। প্রতিবেদন শিগগিরই জমা দেওয়ার কথা আছে। ঘটনা সত্য হলে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।