পুলিশের ডিআইজি পদে কর্মরত তিন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপির চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), শিল্পাঞ্চল পুলিশ, পুলিশ টেলিকম ও রাজশাহী সারদার প্রধান হিসেবে নতুন কর্মকর্তারা এসেছেন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে মোট ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
প্রথম প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশের মো.
এই প্রজ্ঞাপনে আরও দুজন ডিআইজিকে বদলি করা হয়েছে। ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে এসপিবিএনের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ জারি করা দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে বদলিকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবালকে এবিপিএন ১২-এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি), ঢাকা টিডিএসের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম মোশাররফ হোসেন মিয়াজীকে বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুর রাজ্জাককে রংপুর আরআরএফের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি), সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদকে এবিপিএন-৫ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি), এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে রংপুর পিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দা জান্নাত আরাকে রংপুর পিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি, এবিপিএন ৫ এর অধিনায়ক শামীমা আক্তারকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমানকে খাগড়াছড়ির এবিপিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি এএইচএম আব্দুর রকিবকে নোয়াখালী পিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আগের দিন মঙ্গলবার জারি হওয়া আরেক প্রজ্ঞাপনে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী, পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি মো. সরওয়ারকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান এবং সারদা পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এনামুল হককে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমানকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদার পূর্বের বদলির আদেশ বাতিল করে তাকেও পুনরায় একই পদে বহাল রাখা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র ড আইজ স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর কারামুক্ত
টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
টাঙ্গাইলের জেল সুপার জানান, গোপালপুর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ২০০৯ সালে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন সহিদুর রহমান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারাগারে জামিনের আদেশনামা আসে। পরে আজ সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সহিদুরের বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ৬ বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সহিদুর। মাঝে দুই দফায় কয়েক সপ্তাহ জামিনে ছিলেন তিনি। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৮ আগস্ট তিনি জামিনে মুক্তি পান। গত ১ নভেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার পথে সহিদুরকে আবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে ২০২১ সালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৯ সালে গোপালপুরে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে এক বিএনপি নেতা সহিদুরসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের আসামি করে গত নভেম্বরে গোপালপুর থানায় মামলা করা হয়। পরে সহিদুরকে ওই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সহিদুর কারাগারে থাকাকালে গত ২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়। ওই মামলা থেকে সহিদুর ও তাঁর অন্য তিন ভাই বেকসুর খালাস পান।