সাবেক আইজিপিসহ তিনজনকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে
Published: 7th, May 2025 GMT
রাজধানীর কল্যাণপুরে ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে ৯ তরুণ নিহতের ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ সাবেক প্রধান একেএম শহীদুল হকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে ২৫ মে, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে ২৭ মে এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লাকে ২৯ মে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় প্রার্থনা করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। শুনানি শেষে সময় ও জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ তিন আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি নামে একটি ভবনে ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ নামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় ৯ জন। নিহতের পরিবারের দাবি, জঙ্গি নাটক সাজিয়ে তাদের ‘হত্যা’ করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন নিহত দুজনের আপন চাচা মো. আবদুল আওয়াল (৬০), তাঁর মেয়ে শাহনাজ বেগম (২৮) ও তাঁর স্বামী শিপন শিকদার (৩২)। পরে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে রায়পুরার পশ্চিম পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ওই এলাকার মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে হুরুন আলী ওরফে হুরা (৩০) ও শাকিল মিয়া (২২)। তাঁরা দুজনই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মা জোসনা বেগম ১১ জনকে আসামি করে রোববার রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ালের স্ত্রী শরীফা বেগম (৫২) এবং দুই মেয়ে আরজিনা আক্তার (২২) ও আসমা আক্তারকে (১৮) থানায় নেওয়া হয়েছিল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি আওয়ালের ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজন বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ১১ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।