হামলায় কেঁপে উঠে মুজাফফরাবাদ, পাহাড়ে ছুটছিলেন স্থানীয়রা
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশপাশের পাহাড়গুলোর দিকে ছুটে যান।
হামলার সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা দিয়ে রয়টার্সকে স্থানীয়রা জানান, চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল, ভূমি কেঁপে উঠছিল। তখন মসজিদের মাইকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
৪৬ বছর বয়সী বাসিন্দা মুহাম্মদ শায়ের মীর বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে আরও বিস্ফোরণ হয়। পুরো ঘর কেঁপে উঠছিল। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমরা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যাই।
মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা শায়ের মীর বলেন, হামলার পর তিনি ও তার পরিবার চার ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছেন। তার কিছু প্রতিবেশী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে ভুগছেন।
তিনি বলেন, গরিব, নিরীহ মানুষদের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়। আমাদের অসহায় মায়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বোনেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের ঘরগুলো কেঁপে উঠেছিল, দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
বুধবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদে জড়ো হন অনেকে। মসজিদটির ছাদ ধসে পড়েছে, মিনার ভেঙে পড়েছে। এলাকাটি নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রাখে।
স্থানীয় এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মসজিদটির কাছে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মুজাফফরাবাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানকার হাসপাতালগুলো চালু আছে। আজ সকালে কিছু ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান জানিয়েছে, তাদের ২৬ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে পাকিস্তানের কামানের গোলা হামলায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৩ জন আহত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম জ ফফর ব দ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
দেশে করোনার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল করোনায় ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে এ রোগে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই জুন মাসে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বয়স ৬১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। তাঁরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা দেশে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলেছেন। এর নাম এক্সএফজি। পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।