দীপিকার সন্তান নিয়ে রণবীর কাপুরের মন্তব্য ভাইরাল
Published: 8th, May 2025 GMT
প্রেম না টিকলেও বিচ্ছেদের বহু বছর পরেও অনেকের প্রিয় জুটি দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর ‘কাপুর’। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। এরপর গভীর বিষণ্নতায় ডুবে যান। এমনকি আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তার কথাও জানিয়েছেন দীপিকা। প্রায় দুই বছর কোনো কাজে মন দিতে পারেননি। তারপর হতাশা ও বিষণ্নতা থেকে ফিরে বলিউডের বড় পর্দায় উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। থিতু হয়েছেন ব্যক্তিগত জীবনে। পুরোনো তিক্ততা ভুলে রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন এখন ভালো বন্ধু।
এদিকে রণবীর কাপুরও বিয়ে করেছেন, বাবা হয়েছেন। আর বাবা হওয়ার পর নিজেকে শুধরেছেনও বটে। ধূমপান ছেড়েছেন। আরও বেশি করে স্বাস্থ্যকর জীবনে আগ্রহী হয়েছেন। পেশাগত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। সময় পেলেই কন্যা রাহার সঙ্গে খেলেন। কন্যাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের বিয়ের পর রণবীর কাপুর তাঁদের শুভকামনা জানিয়েছিলেন। ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানের পঞ্চম সিজনে রণবীর কাপুর অংশ নেন রণবীর সিংয়ের সঙ্গে। সেখানে বলিউডের পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহর রণবীর কাপুরকে দীপিকার সঙ্গে তাঁর বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। রণবীর কাপুর তখন বলেন, ‘আমরা দুজনই ইতিবাচকভাবে নিজেদের জীবনে এগিয়ে গেছি। আমাদের ভেতর এখন আর অস্বস্তিকর কোনো অনুভূতি অবশিষ্ট নেই। আমরা এখন ভালো বন্ধু।’
দীপিকা পাড়ুকোন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রণব র ক প র
এছাড়াও পড়ুন:
মারিয়া মান্দার লেখা: লড়ি মাঝমাঠে, লড়ি জীবনের মাঠেও
ধোবাউড়ার মন্দিরগোনা গ্রামে জন্ম আমার। আমি গারো সম্প্রদায়ের মেয়ে। গারোরা এমনিতেই অনগ্রসর। তবে গারো হিসেবে আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে বাধা আসেনি। কেউ বলেনি যে ফুটবল খেলো না। আমার সম্প্রদায় নিরুৎসাহিত করেনি কখনো। তবে মেয়ে হিসেবে আমরা যে গ্রামাঞ্চলে খেলাধুলা করেছি, তাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
বলা হতো, গ্রামের মেয়েরা কেন ফুটবল খেলবে! তা-ও আবার হাফপ্যান্ট পরে! এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বাধা। রক্ষণশীল সমাজ থেকে নিষেধ করা হতো ফুটবল খেলতে। বাধাটা পেয়েছি আদতে এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে।
অনেকে আমার মাকে বলতেন, ‘মেয়েকে খেলতে দিয়েছেন, এটা ভালো না।’ অভিভাবকেরা মেয়েদের নিষেধ করতেন ফুটবল খেলতে। বলা হতো, মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না।
বাধা পেরিয়েতারপরও কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোচ মফিজ উদ্দিন স্যার থেমে থাকেননি। সঙ্গে ছিলেন মিনতি রানী শীল ম্যাডাম। সপ্তাহে এক দিন-দুই দিন অভিভাবকদের সভা ডাকতেন; বোঝাতেন, কেন মেয়েদের খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাঁদের নেতৃত্বে আমরা ছোটবেলা থেকেই ফুটবল-পাগল হয়ে উঠেছিলাম, বাধা দিলেও অনেকে লুকিয়ে খেলত। তবে খেলার জগতে আসতে পরিবার থেকে বাধার মুখে পড়তে হয়নি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই বাবা বীরেন্দ্র মারাক মারা যান। তাঁর কোনো স্মৃতি আমার মনে নেই। ঘরে তাঁর কোনো ছবি নেই, চেহারাটাও মনে করতে পারি না। তাই বাবার স্নেহ কাকে বলে, তা ঠিক জানি না। বাবার মৃত্যুর পর আমাদের চার ভাইবোনকে একাই বড় করেছেন মা—এনতা মান্দা।
গারোরা ধান কাটা, ধন বোনার কাজই বেশি করেন। আমার মা-ও সেটাই করতেন। আমাদের লালন–পালনের জন্য প্রতিদিন যে পরিশ্রম তিনি করেছেন, সেটা সত্যিই অসাধারণ। ধান কাটার কাজ মানে দৈনিক মজুরি, আমাদের নিজের জমি ছিল না, অন্যের জমিতে কাজ করতেন মা। দিনে পেতেন মাত্র ২০০ টাকা। এই টাকায় সংসার চলত না। ঋণ করতে হতো। ছোটবেলা থেকে মা ঘামে, চোখের জলে এগিয়ে নিয়েছেন আমাদের। তাঁর সেই পরিশ্রম আর ত্যাগের মধ্যেই আমার শৈশব কেটেছে।
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামে নিজ বাড়ির উঠানে কিশোরী মারিয়া মান্দার অনুশীলন