আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সাগর গ্রেপ্তার
Published: 9th, May 2025 GMT
জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আনোয়ার পারভেজ সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় গেন্ডারিয়ার শাহ সাহেব লেনের বাসা থেকে মিরপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি, আনোয়ার পারভেজ সাগর সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের চোরাগোপ্তা মিছিলগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রেমন বলেন, জুলাই-আগস্টের পর থেকে আনোয়ার পারভেজ সাগর আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দায়ের করা মামলার মধ্যে তিনি ৭৫ নম্বর মামলার আসামি।
ওসি সাজ্জাদ জানান, আনোয়ার পারভেজ সাগর ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে রাজনীতি করেছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। একসময় তাকে শ্যুটার সাগর নামে ডাকা হতো। গেন্ডারিয়ায় তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন এবং কয়েকটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করতেন।
ওসি সাজ্জাদ রেমন আরও জানান, আনোয়ার পারভেজ সাগর ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক স্বৈরাচার আমলের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘বরফ গলেছে’—এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে নাকভির সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিসিআই সচিব
এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির মধ্যে চলা বিবাদ কি শেষমেশ মিটতে যাচ্ছে? বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার ইঙ্গিত অন্তত সেদিকেই।
গতকাল দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় যোগ দেন সাইকিয়া। বৈঠকের পর ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘বিসিসিআই ও পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে চলা বিবাদ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আইসিসির আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দুই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলাম। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিও ছিলেন সেখানে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন ভারত নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেয়নি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে ট্রফি দেওয়ার এখতিয়ার তাঁরই—এটা জানিয়ে নাকভি তখন ট্রফি নিজের কাছেই রেখে দেন। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ভারত ট্রফি পায়নি। নাকভিও তা ফেরত দেননি। এ নিয়েই বিসিসিআই জানিয়েছিল, আইসিসি বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হবে।
সেই বৈঠকের প্রসঙ্গে সাইকিয়া বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপ ট্রফির বিষয়টি ছিল না। তবে আইসিসি তাদের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে আলাদা করে এক বৈঠকের ব্যবস্থা করে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ওই দুই কর্মকর্তার একজন আইসিসির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা, অন্যজন প্রধান নির্বাহী সংযোগ গুপ্ত। পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিসিসিআই সচিব বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা সত্যিই ভালো ছিল। উভয় পক্ষই আন্তরিকভাবে বৈঠকে অংশ নেয়, যা আইসিসি বোর্ড সভার ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
বিসিসিআই সচিব আরও জানান, দ্রুতই সমাধান বের করা হবে। ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ট্রফি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। সাইকিয়ার ভাষায়, ‘উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটি সমাধানের জন্য কিছু একটা কাজ করবে। বরফ এখন গলে গেছে, তাই বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে কাজ করা হবে। অন্য পক্ষের থেকেও বিকল্প থাকবে, এবং এই সমস্যাটি নিষ্পত্তি করে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে আসার জন্য আমরাও বিকল্প দেব।’
শেষমেশ দেখা যাক, বরফটা সত্যিই গলল, নাকি আবার নতুন কোনো ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হলো।