হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম পুরোনো পৌরসভা চুনারুঘাট। প্রায় ১৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি পৌর এলাকার জন্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিদিন শহর থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর অস্তিত্ব।
নদীতে আবর্জনা ফেলার এ অপচর্চা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরবাসী বলছেন, এটি পরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীতে ময়লা ফেললে শুধু পানি দূষিত হয় না, চারপাশের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে নদীটির অস্তিত্ব নষ্ট হবে। বিষাক্ত বর্জ্যে নষ্ট হয়ে যাবে এর বাস্তু ব্যবস্থাপনা।
সরেজমিন পৌর এলাকার নদী তীরবর্তী অংশ ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই নদীর চরে অলিখিতভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নাগরিকদের। এসব জায়গা দিয়ে পথচারীকে চলাচল করতে নাক চেপে ধরতে হয়। বিগত দিনে পৌরশহরের পাকুড়িয়া জোড়া ব্রিজের সামনে ময়লা ফেলা হলে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে সে স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ময়লা ফেলার স্থান। এখন গোটা খোয়াই নদী ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, তাদের কোনো বিকল্প স্থান সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। শিক্ষক শামীম আলম বলেন, ডাম্পিং স্টেশন না থাকা একটি পৌরসভার জন্য লজ্জার বিষয়। দীর্ঘ দুই দশকেও একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা দুর্ভাগ্যজনক।
২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খোয়াই নদীর পাশে প্রতিদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপন পরিকল্পনা। ওয়ার্ডের নাগরিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ চাইছে। চুনারুঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভা এখন এক চরম বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে। পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং শহরের ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। 
পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, পৌরসভা ভবিষ্যতে একটি বড় শহরে পরিণত হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ময়লা ডাম্পিংয়ের পরিকল্পিত স্টেশন নির্মাণের চেষ্টা চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়ল র স ত প খ য় ই নদ প রসভ র বর জ য পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় এনজেটিজেএ’র নিন্দা

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (এনজেটিজেএ) সভাপতি নাফিজ আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সেই সাথে সাংবাদিক তুহিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। 

বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তুহিনকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যার বিচার দাবী করে বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রকাশ্যে একজন গণমাধ্যমকর্মীকে এভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো সাংবাদিক সমাজ হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে।

গত ৭ আগস্ট রাতে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।

সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ