আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সংশোধনীতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার জন্য দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার করার পথ খুলে গেল।

শনিবার (১০ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলগতভাবে তাদের বিচার দাবি করে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই দাবি নিয়ে ৮ মে রাতে রাজপথে নামে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয়  জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি আরো কয়েকটি দল। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অবশেষে তাদের আলটিমেটামের ‍মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হলো।

আরো পড়ুন:

আ.

লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ: জেলায় জেলায় আনন্দ, মিষ্টি বিতরণ 

পাবনায় আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামি লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। 

তিনি জানান, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের তিন দাবিই পূরণ করল অন্তর্বর্তী সরকার। 

ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আওয় ম ল গ উপদ ষ ট র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় হামাসের হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে হামাসের অভিযানে দখলদার ইসরায়েলের সাত সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, খান ইউনিসের যে এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখানে পরবর্তীতে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র হামলা শুরু করে। মূলত আহতদের উদ্ধারে হামলার তীব্রতা বাড়ান তারা।

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিন-ইরানে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসরাইলি পতাকায় অগ্নিসংযোগ

বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে

প্যালেস্টাইন ক্রনিকল জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধরা দুইভাগে এই অতর্কিত হামলা চালান। প্রথমে খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সাজোয়া যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালান তারা। এরপর হতাহতদের উদ্ধারে আসা সেনাদের আরেকটি দলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়।

টাইমস অব ইসরায়েলে জানিয়েছে, হামাসের হামলায় সাঁজোয়া যানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভেতরে থাকা সেনারা আগুনে পুড়ে মারা যান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় নিহত সাত সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার গাজায় ৭ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং তাদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছর। তারা সবাই ইসরায়েলের ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য। আহত সেনাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে তেল আবিবের তেল হাসোমের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

গত কয়েকদিন ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে আবারও নতুন করে হামলা শুরু করেছে হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ