ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী মেকআপশিল্পী বিক্রম গায়কোয়াড মারা গেছেন। মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বিক্রম। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তিনি বলিউডের ব্যবসাসফল ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’, ‘সঞ্জু’সহ অসংখ্য বলিউড, মারাঠি ও টালিউডের সিনেমায় মেকআপ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান, রণবীর সিং, আনুশকা শর্মাসহ বলিউড তারকারা।

আমির খান প্রোডাকশনের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখা হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা কিংবদন্তি মেকআপ আর্টিস্ট বিক্রম গায়কোয়াডকে বিদায় জানাচ্ছি। ‘‘দঙ্গল’’, ‘‘পিকে’’, ‘‘রং দে বাসন্তী”র মতো ছবিতে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই একজন মাস্টার, যাঁর স্পর্শে পর্দার চরিত্রগুলো হয়ে উঠত জীবন্ত।’
আমিরের পক্ষ থেকে আরও লেখা হয়, ‘তাঁর পরিবারের সবার প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তোমাকে মিস করব দাদা।’ এদিকে রণবীর শুধুই লিখেছেন, ‘দাদা’।
চলচ্চিত্রে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘বিক্রম সর্দার’ দিয়ে। এর পর থেকে তিনিই হয়ে ওঠেন হিন্দি ও মারাঠি সিনেমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মেকআপশিল্পী। তিনি ‘৮৩ ’, ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, ‘দঙ্গল’, ‘পিকে’, ‘ওমকারা’, ‘দিল্লি-৬ ’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘ডার্টি পিকচার’, ‘সঞ্জু’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’‍–এর মতো হিন্দি ছবিতে মেকআপশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।

২০১২ সালে বিদ্যা বালান অভিনীত ‘ডার্টি পিকচার’ সিনেমার জন্য সেরা মেকআপশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান বিক্রম গায়কোয়াড। তিনি দক্ষিণ ভারতের ‘কাতিয়ার কালজাত গুসালি’, ‘পোন্নিয়িন সেলভান’ ও ‘ও কাধাল কানমানি’ সিনেমায়ও কাজ করেছেন।
শুধু তাই নয়, কলকাতার বাংলা ছবি ‘পাতালঘর’-এর মেকআপশিল্পী ছিলেনবিক্রম গায়কোয়াড। এ ছবিতে তাঁর প্রস্থেটিক মেকআপ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘ধূমকেতু’রও মেকআপশিল্পী ছিলেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রতিবাদে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘অপরাধ বৃদ্ধির কারণে জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি বিচার বিভাগকে রাজধানীর স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অনুমতি দেন এবং সেখানে ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পেন্টাগনকে নির্দেশ দেন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে গতকাল হোয়াইট হাউসের কয়েক ব্লক দূরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তাঁরা ‘বু’ ধ্বনি দিয়ে তাঁর পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন।

ট্রাম্পের দাবি, ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ফেডারেল কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এটি নিছক অজুহাত—রাজধানীর ওপর ক্ষমতা দখলের ন্যায্যতা প্রমাণের কৌশল।

ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করা সংগঠন ফ্রি ডিসির নির্বাহী পরিচালক কেয়া চ্যাটার্জি বলেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিন অবহেলিত ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দাদের অধিকারের ওপর আঘাত। এটি বড় ধরনের উত্তেজনা উসকে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়নের প্রতিবাদে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

সম্পর্কিত নিবন্ধ