রণবীরের বিপরীতে বিক্রান্ত, শুটিংয়ে তারিখ জানালেন নির্মাতা
Published: 15th, May 2025 GMT
শাহরুখ খানের আলোচিত সিনেমা ‘ডন’-এর সর্বশেষ সিকুয়েলে (ডন-৩) প্রধান চরিত্রে এবার দেখা যাবে রণবীর সিংকে। ‘ডন’ চরিত্রে শাহরুখ খানের পর রণবীরকে নিয়ে দর্শকমহলে আগ্রহ এখন বেশ তুঙ্গে। সিনেমার ঘোষণা আসার পর নানা কারণে পিছিয়ে যাচ্ছিল শুটিংয়ের তারিখ। এবার শুটিং শুরুর কথা জানালেন নির্মাতা ফারহান আখতার।
নির্মাতা জানান, বহুল আলোচিত অ্যাকশন থ্রিলার ‘ডন-৩’ সিনেমার শুটিং শুরু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এরই মধ্যে ‘ডন-৩’-এর সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন তিনি।
বলিউড বাবলের খবরে বলা হয়েছে, ফারহান আখতার বর্তমানে তার পরিচালিত সিনেমা ‘১২০ বাহাদুর’ প্রায় শেষ করে এনেছেন। অন্যদিকে রণবীর সিংয়েরও চলমান প্রজেক্ট ‘ধুরন্ধর’-এর শুটিং প্রায় শেষের পথে। ফলে দুই তারকাই এখন প্রস্তুত নতুন মিশনের জন্য।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বলিউড বাবলের খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রথম শিডিউল সেপ্টেম্বরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। রণবীর সিং ও বিক্রান্ত ম্যাসি-দুজনেই এতে অংশ নেবেন। বিক্রান্ত এখানে ভিলেন চরিত্রে থাকছেন এবং তাকে একেবারে নতুন এক রূপে দেখা যাবে, যা তার ভক্তদের চমকে দেবে।”
তবে এখনো নিশ্চিত নয়, নারী মুখ্য চরিত্র এই শিডিউলে যুক্ত হবেন কিনা। নায়িকা চরিত্রে শারভারি ওয়াঘ বা কৃতি স্যাননের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।
সিনেমাটির ঘোণার পরপরই দর্শকরা ধরেই নিয়েছেন থ্রিলার এবং ভারপুর অ্যাকশনে জমজমাট হয়ে উঠবে ‘ডন-৩’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রণব র স চর ত র রণব র
এছাড়াও পড়ুন:
সব আলো নিভে যাবার পর
মাধবীলতার ঝোঁপ থেকে একটা বুনো গন্ধ বারান্দায় ছড়িয়ে পড়ে। শৈশবের স্মৃতি মাখতেই একটা চারা সে লাগিয়ে ছিল বারান্দার এক কোণে। আহা শৈশব আহা স্মৃতি। বাবা সাইকেলের প্যাডেল মারছেন স্কুলে যাবেন বলে। মা দৌড়ে এসে ঝর্ণা কলম পকেটে গুঁজে দেন। না, সময় নষ্ট করার সময় নেই। দ্রুত সিঁড়ি টপকাতে হবে। ওপরে ওঠার সিঁড়ি। ওপর মানে ছয়তলা-সাততলা ডিঙিয়ে ছাদ।
লিফটে যাওয়া যাবে না। সব সময় লিফটে কারও না কারও সাথে দেখা হয়ে যায়। এই সময়ে কারও সাথে দেখা হোক চায় না অহনা। এই সময়টা খুব অদ্ভুত, দিনের অদ্ভুত একটা সময়। সকালের ব্যস্ততা প্রায় শেষের পথে, হুড়োহুড়ি করে অফিসে বেরিয়ে যাবার কালটা পেরিয়ে গেছে। তারা কেউ হয়তো বাসে, কেউ লেগুনা, কেউ রিকশা, কেউ অটোরিকশা কিংবা ব্যক্তিগত কিংবা অফিসের গাড়িতে। গলির রাস্তার ব্যস্ত মানুষের স্রোত থিতিয়ে এসেছে। পাড়াজুড়ে, ফ্ল্যাটজুড়ে জিরিয়ে নেওয়া নীরবতা। গৃহবধূ নারীটির নিজস্ব সময়। রান্নাঘরে ঢোকার আগে একটু গড়াগড়ি যাওয়া। মোবাইল ফোনে নতুন পরিচয় হওয়া ছেলেটির ‘হাই সুন্দরী’ মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে কয়েক মিনিট নিজের রূপের প্রশংসা উপভোগ করা। বরের রুক্ষ মেজাজ, বাচ্চার ঘ্যানঘ্যান, ঘেমে নেয়ে রান্না করে ঘর গুছিয়ে ক্লান্তির কাছে হার মানার ফুরসত দেয় না যে সংসার, সে জীবনে সুদূর ইতালি থেকে কেউ যদি বলে, আপনি খুব সুন্দরী, ক্লান্ত একঘেয়ে দিনে রং লাগে। হোক সে বয়সে অনেক ছোট।
ধুর কী এসব ভাবছে অহনা। রুমমেট শিউলি আর প্রাপ্তি বেরিয়ে গেছে। যাবার সময় অভ্যাসবশত জিজ্ঞেস করে গেছে, এই তুই যাবি না আজকে সত্যি? পায়ে জুতা গলাতে গলাতে মত দিয়েছে, এভাবে শুধু শুধু ছুটি নষ্ট করার মানে হয়? পরে দরকার লাগলে ছুটি পাবি না। ওরা ওপর থেকে অহনার আলস্য দেখে। নির্বিকার উদাসীনতা দেখে। ভেতরটা দেখে না। দেখতে দেয়নি সে। বুঝতেও দেয়নি, জানতেও দেয়নি। সবশেষে বুয়া যায় টেবিলে ঢ্যাঁড়শ ভাজি আর রুটি ঢাকনা দিয়ে রেখে। আফা আইজ অফিস নাই বলে বাসাটায় শেষ নিস্তব্ধতা রেখে বের হয়ে যায়। অহনা গা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায়। পরনের স্লিভলেস ফতোয়া আর হাফপ্যান্ট বদলানোর জন্য ভেতর রুমে ঢোকে অহনা। ক্লজেট খুলতেই একরাশ নেপথালিনের গন্ধে আঁচলের খুঁটে চাবি বেঁধে রাখা নানি এসে দাঁড়ায় সামনে।
বিস্ময়ভর্তি একটা আলমারি ছিল নানির। কাঠের পাল্লা। খুললেই উচ্ছৃঙ্খল নেপথালিনের গন্ধ। নানাভাইয়ের পাজামা-পাঞ্জাবি, চশমা, জুতা। আরেক তাকে নানির রংচঙে সব শাড়ি। বিয়ের শাড়িটাও, পাতলা নাইলনে জরির পেটানো পাড় আর আঁচল। শাড়িজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বুটি। আরও যেন কী কী! সব জুড়ে নেপথালিনের গন্ধ নানির একজীবনের সুখ-দুঃখ, বিরহ গাথা। সেসব গাথা নানি খুব যত্নে রাখতেন। ক্যান্সার ধরা পড়ায় ডাক্তার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও চাবিটা হাতছাড়া করতেন না। নানার মৃত্যুর পর তিন ছেলের কেউ দেশে ফিরতে না চাইলে মেয়ের বাড়িতে আসার সময় কাঁদছিলেন। বাড়িটা ভাড়া দিয়ে স্মৃতি, পদচিহ্ন, অসংখ্য দিনরাত মুহূর্ত পেছনে ফেলে চলে আসার সময় শুধু এই আলমারিটাই সাথে করে নিয়ে
এসেছিলেন। মিষ্টি জর্দার গন্ধ ছাপিয়ে নেপথালিনের গন্ধ, নেপথালিনের গন্ধ ছাপিয়ে মিষ্টি জর্দার গন্ধ ধবধবে সাদা চুলের নানিকে সেই পুরাকালের গল্প বুড়ি করে তুলত, আর কাঠের সেই আলমারি যেন জাদুর বাক্স। সেখানে নেপথালিন নামের রহস্যময় ঘ্রাণ।
এই ড্রেসটা অসীম দিয়েছিল জন্মদিনে। প্রথম চাকরি পেয়ে। সামান্য চাকরি। তবু কোনোদিন কিছু দিতে না পারা অসীম চাকরি পেয়ে প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে দুটো ড্রেস কিনেছিল। একটা অহনার জন্য, আরেকটা ওর মায়ের জন্য। বেকার, গরিব ছাত্র অসীমের সাথে প্রেম করার সময় বন্ধুরা টিপ্পনী কাটত, তোর মতো মেয়ে কেন অসীমের মতো ছেলের সাথে ঝুলে থাকবে?
অহনাকে চিনত না ওরা। ভেতরের অহনাকে কেউ চিনত না। অহনারও মা-হীন বেকার বাবার সংসার। এদিক-সেদিক করে দিন কাটিয়ে দিত। এদিক-সেদিক মানে মজুমদার বাড়ির বাজার, খান সাহেবের ইলেকট্রিক মিস্ত্রির জোগাড় ... এসব। অথচ অহনার চেহারায় এমন কিছু ছিল, কেউ দেখে বুঝত না ও চেয়ে চিনতে চলা বাপের মেয়ে। ঢাকা শহরে নিজের পেটের জোগাড় নিজেকেই করে নিতে হয় ওর।
অথচ চেহারা আর গঠন মিলেমিশে সাক্ষ্য দিত উল্টোটা। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে টিউশনের বাড়ি গেলে সন্দেহের চোখে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখত। তারপর না বলে দিত কড়া ভাষায়। পার্টটাইম চাকরির দুই মাসের মাথায় অফিসে কমপ্লেইন আসত পুরুষ সহকর্মীদের স্ত্রীদের কাছ থেকে, চাকরিচ্যুত করা হতো অহনাকে। মা চলে যাবার পর প্রতিটি দিন অহনা জানত খিদের কষ্ট কী। মাসে বাসা ভাড়ার টাকা জোগাড় করার চিন্তায় নিদ্রাহীন রাত কাটানোর কষ্ট। মায়ের রূপ যৌবন পাওয়াটাই কাল হয়েছে ওর।
হ্যাঁ ক্লাসমেট অসীম কেন, নিজের চেহারা শরীর দিয়ে যে কোনো বড়লোকের ছেলে বাগানো যেত। সাথের মেয়েগুলো তাই করে। আইফোন আইপ্যাড হাতিয়ে নেয়, কক্সবাজার ট্রিপে যায় তারপর দুজনের কেউ না কেউ সব ইরেজ করে দেয় স্বাভাবিক ভাত খেয়ে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার মতো করে।
অহনা পারেনি। অসীমের অন্তর্মুখী স্বভাবের নিচে গভীরতা ছিল। ভীষণ কেয়ারিং। দুপুরে দু’খানা শিঙাড়া কিনে দাঁড়িয়ে থাকত ডিপার্টমেন্টের নিচে। অহনার পেটে তখন হিংস্র বাঘের মতো সামনে যা পায়, তা গোগ্রাসে খেয়ে ফেলার মতো অবস্থা। দুটো শিঙাড়া খেয়ে ফেলার পর মনে পড়ে, বেচারা অসীম হয়তো দুজনের জন্য দুটো এনেছিল। অসীম মিথ্যা বলতে পারত না। থতমত খেয়ে বলার চেষ্টা করত, কিচ্ছু হবে না। আমি খেয়ে এসেছি। ওর মিথ্যেটা আনন্দ হয়ে ঝুলে থাকত ওর চেহারায়। অহনা সেই আনন্দের ভাষা পড়তে পারত। অহনা প্রেমেই পড়ে ছিল। অসীমের প্রেমের প্রেমে। প্রেমকে বাণিজ্য কিংবা ব্যবহার কিছুই করতে চায়নি সে।
জামাটা গায়ে গলিয়ে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ঘুরেফিরে দেখে। বেশ মানিয়েছে ওকে। কালোর ওপর সাদা এমব্রয়ডারি। লম্বা ছিপছিপে শরীরে মডেলের মতোই লাগছে দেখতে। অনিমা বলত, এই আড়ং তোকে চোখে দেখে না! এত্ত মানাত নাকি মডেলে! সত্যি তো আড়ং যদি ডাকত ওকে কখনও অন্তত বাসা ভাড়া, খাবার, পরীক্ষার ফিস এগুলো নিয়ে ভাবতে হতো না।
জামাটায় অসীমের গন্ধ লেগে আছে। পুরুষালি আফটার শেভ। জামাটা যেদিন কিনে দিল, তার পরদিন ওকে ধানমন্ডিতে বুফে খাইয়েছিল অসীম। আর খাওয়ানোর আগে দীর্ঘ চুমু।
অহনা বলতে পারেনি অসীমকে। এই চুমু তার প্রথম নয়, এই বুফে তার প্রথম নয়। অসীমকে এসব বলা যায় না। নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজেকে কৈফিয়ত দিত, ভালোবাসায় আমি অসীমকে ঠকাচ্ছি না। আমি অসীমকে ভালোবাসি। শুধু অসীমকে।
ঘড়ির কাঁটারই কোনো অবসর নেই, মনে হয় অহনার। যদি আরেকটু দীর্ঘ করা যেত এই অবসন্ন সকালটা। আরেকটু দীর্ঘ করা যেত জীবনের বেলাটা। পোস্টমর্টেমে সবাই সত্যটা জানবে। মেডিকেল টেস্ট আর আল্ট্রাসাউন্ডের রিপোর্ট দুটো পোড়ানোর কথা মনে হয় একবার। হাতে নিয়ে দেখে অহনা। লোকটিকে বারবার বলেছিল সে কনডমের কথা। লোকটি নিশ্চিত করেছিল সে ইনফার্টাইল। তার স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। অনেক মেয়ের অভিজ্ঞতা তার। অহনা বিশ্বাস করেছিল।
পাঁচতারকায় রাতের বুফে ডিনার করতে করতে ভেবেছিল এবার থেকে নিজেই কন্ট্রাসেপটিভ নেবে। একবার ভেবেছিল লোকটিকে না করে দিক। প্রথম থেকেই কেমন অসহ্য অরুচিকর বোধ হচ্ছিল তাকে। কিন্তু টাকার অঙ্কটা ভেবে নিজেকে সংযত করে অহনা। একবারে ত্রিশ হাজার টাকা পেয়ে গেলে এই মাসের খরচ নিয়ে আর ভাবতে হয় না অহনার।
রিপোর্ট ভুল হতে পারে, এমন ভুল বিশ্বাসে তিন জায়গায় টেস্ট করিয়েছে সে। সবার রিপোর্ট এক। কয়েক জায়গায় সাহস সঞ্চয় করে গিয়েছে সে। কখনও এমন বিপদের মুখোমুখি পড়েনি ও। পনেরো সপ্তাহের ভ্রূণ। কেউ ঝুঁকি নেয়নি। সবাই মুখের ওপর না করে দিয়েছে।
নিজের বোকামি অসহায়ত্ব সব ছাপিয়ে অসীমের চেহারাটাই মনে পড়েছিল বারবার। না অসীম সব জেনে যাবে, অহনার অন্ধকার জীবন। অসীমের জন্য এই ভার কঠিন। অসীম গত মাসে একটা হাতিলের রকিং চেয়ার কিনেছে। অহনা বারান্দায় বসে দুলতে দুলতে গান শুনবে। এ মাসে একটা কিং সাইজ খাট কেনার কথা। দুজন মিলে দেখে এসেছে বসুন্ধরা মার্কেটের উল্টোদিকে। আগামী মাসে ওদের বিয়ে। অসীমের মা অহনার পছন্দের চ্যাপা শুঁটকি রান্না করে বক্স ভরে পাঠায়। আর ছোট মাছের চচ্চড়ি। অসীমের বাসায় প্লেটে ভাত তুলে দিতে দিতে বলছিলেন মাত্র চাকরিটা পেয়েছে। আরও কয়েক মাস পর বিয়ে করলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু মা, আমার ছেলেটা সারাজীবন কষ্ট করেছে। কিচ্ছু ওর মনমতো ও পায়নি। আমি দিতে পারিনি। তোমাকে চেয়েছে, আমি এক কথায় রাজি হয়ে গেছি ...।
আহা অসীম ক্ষমা করে দিও আমাকে, অহনা বিড়বিড় করতে করতে দরজা খুলতে চায়। আর মাত্র কয়েকটা মিনিট। ইতিহাস হয়ে যাবে অহনা। পত্রিকার পাতা, বীভৎস ছবি, চরিত্রের কাটাছেঁড়া। আচ্ছা দশতলা ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে কতটা বীভৎস হয় শরীর? পেটের ভেতরের ভ্রূণটাও কি সাথে সাথেই মারা যায়? আচ্ছা ওর সব ইতিহাস বের করে ফেলবে সাংবাদিকরা? দশ হাজার রেইট ওর। অসীম কি অস্বীকার করবে অহনার সাথে সম্পর্কের কথা!
হোক যা কিছু। বেলা বেড়ে যাচ্ছে। যা করার দ্রুত করতে হবে। দরজা খুলতেই সামনে অসীম। দু’হাতে দরজা আটকায় অসীম। ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকায় অহনাকে।
আমি তো এখনও আছি অহনা। মরিনি তো! একবার বলতে পারতে আমাকে। এসব কী বলছে অসীম। অসীম কী করে সব জানল? জেনেছে নাকি এমনিতেই এসেছে কাকতালীয়!
অনুচ্চারিত প্রশ্নগুলো জেনেই হোক কিংবা বুঝেই হোক অসীম বলতে থাকে, প্রেম আর শরীরকে আমি আলাদা করে দেখি অহনা। দুজন মানুষের অস্তিত্বকেও। তুমি তোমার জন্য বাঁচবে। যেভাবে তোমার বেঁচে থাকা সহজ হয়, আমি সেভাবে তোমার পাশে থাকব। ভরসা করে দেখো একবার।