দক্ষিণী সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় দম্পতি সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যের সংসার ভেঙেছে অনেক আগেই। বিচ্ছেদের পর বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলেন সামান্থা। কিছুদিন ভুগেছেন শারীরিক জটিলতা নিয়েও। এর মধ্যেই দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেন নাগা চৈতন্য। সাবেক স্বামীর বিয়ের পরও সামান্থাকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। তবে এবার নিজের প্রেম নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এলন সামান্থা।

শোনা যাচ্ছে, পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাদের দুজনকে একসঙ্গেও দেখা গেছে। এছাড়া তাদের একটি ছবি নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়েছে।

ইন্ডিয়া টু-ডে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণী জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও নির্মাতা রাজ নিদিমোরুর একটি ঘনিষ্ঠ সেলফি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সামান্থা নিজেই ছবিটি শেয়ার করেন ভক্তদের মাঝে।

ইনস্টাগ্রামে সামান্থা ‘সুভম’ সিনেমার সেট থেকে কিছু বিহাইন্ড দ্য সিন মুহূর্ত শেয়ার করেন। এর মধ্যেই একটি সেলফিতে দেখা যায়-ফ্লাইটে রাজের কাঁধে মাথা রেখে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে আছেন সামান্থা।  

এই পোস্টের পর, ভক্তরা তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। অনেকেই দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ আবার সামান্থার নতুন সূচনায় শুরু। অনেকেই বলছেন তাদের ধারণাই সত্যি হলো।

যদিও সামান্থা এবং রাজ তাদের সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে, তারা পেশাগতভাবে আবারও ‘রক্ত ব্রহ্মাণ্ড: দ্য ব্লাডি কিংডম’ নামের একটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন। এর আগে তারা ‘সিটাডেল: হানি বানি’ এবং ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ এ একসঙ্গে কাজ করেছেন। 

অন্যদিকে একটি সূত্রের বারাত দিয়ে পিঙ্কভিলার খবরে বলা হয়ছে, সামান্থা ও রাজ একসঙ্গে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন এবং সে কারণে তারা বাড়ি খুঁজছেন। যদিও এখনও এ বিষয়ে দুজনের কেউ কিছু বলছেন না।

সামান্থার আগে শ্যামলী দে নামে এক সহ-পরিচালকের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন রাজ। ২০২২ সালে রাজ ও শ্যামলীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ‘সিটাডেল হানি বানি’-তে কাজ করতে গিয়েই নাকি সামান্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় রাজের। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?