কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ থাকতে হবে
Published: 26th, May 2025 GMT
সর্বশেষ গত দুই–তিন বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ও দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই সংকটের কারণে মানুষের খরচ করার সামর্থ্য ও প্রত্যাশা উভয়ই কমে গেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে হিমশিম খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন সবজি, ফল ও আমিষ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। আমরা দেখছি, মানুষের মাথাপিছু ভোগ কমেছে এবং পুষ্টির ঘাটতি বেড়েছে। এতে নিম্ন, নিম্ন মধ্যম এবং কিছু ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন। ফলে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, আগামী বাজেটে যেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পুষ্টির ঘাটতি কমানোর বিষয়টিকেও সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর উপায় হচ্ছে—যথেষ্ট পরিমাণে কর্মসংস্থান বাড়ানো। আর এ জন্য প্রয়োজন নতুন বিনিয়োগ। বিনিয়োগের মাধ্যমে যেমন ব্যবসা ও শিল্প গড়ে ওঠে, তেমনি কাজের সুযোগও তৈরি হয়। তাতে মানুষের ভোগ বাড়ে, গতি আসে অর্থনীতিতে। আগামী বাজেটে কর্মসংস্থান তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বর্তমানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। এতে বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে। যেহেতু গত কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে তাই সুদহার কিছুটা কমানো উচিত। বাজেটে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা প্রত্যাশা করছি।
দ্বিতীয়ত, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও সরবরাহব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে ছাত্রজোটের মিছিলে শিবিরের ‘হামলার’ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মশালমিছিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশালমিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মশালমিছিল করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি হলপাড়া ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মশালমিছিলে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁরা, ‘জামায়াত–শিবিরের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, যেই হাত হামলা করে, সেই হাত ভেঙে দাও’সহ নানা স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মিশকাত তানিশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেই বাংলাদেশের মাটিতে ’২৪–এর গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের এত গর্ব, সেই বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকত না ’৭১ ছাড়া। সেই জায়গায় যাঁরা বিরোধী, তাঁদের প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের সময়ে এটা অবশ্যই একটা নেতিবাচক দিক। বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য একটা হুমকি। সেই জায়গা থেকে আমরা এ টি এম আজহারের খালাসের রায়ের বিপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকেলে মিছিল করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও যখন এ রকম একটা মিছিল হলো, সেই মিছিলে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা সেখানে হামলা করেছে। এই যে আগে আমরা কি দেখতাম, যখন আমরা হাসিনার বিরোধী মিছিল করতাম, তখনো হামলার শিকার হয়েছি। ’২৪–পরবর্তী বাংলাদেশে এসেও হামলার শিকার হতে হচ্ছে। রাবিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা আজকের এই মশালমিছিল করেছি।’