ভারতের সাথে কাশ্মীর বিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে আলোচনায় পাকিস্তান আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বুধবার পাকিস্তান-তুরস্ক-আজারবাইজান ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানের প্রতি তুরস্ক ও আজারবাইজানের সমর্থনের জন্য সম্মেলনে তাদের প্রশংসা করেছেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেছেন, “আমি সম্পূর্ণ বিনয়ের সাথে বলেছি যে আমরা এই অঞ্চলে শান্তি চাই এবং এর জন্য এমন বিষয়গুলোতে আলোচনার প্রয়োজন যেগুলো জরুরি মনোযোগ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজন। এগুলো হচ্ছে জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে এবং কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে কাশ্মীরের সমস্যা।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বলেছি যে ভারত যদি আন্তরিকতার সাথে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কথা বলতে চায়, তাহলে পাকিস্তানও এই বিষয়ে ভারতের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক। কিন্তু এটা বাস্তবতা যে, আমরা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকার; গত কয়েক দশক ধরে আমরা পাকিস্তানে ৯০ হাজার মূল্যবান জীবন হারিয়েছি এবং ১৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “আগামীকালের জন্য এই হুমকিকে (সন্ত্রাসবাদ) পরাজিত করার জন্য এর চেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ও উদ্দেশ্য আর হতে পারে না এবং ভারত যদি আন্তরিকতার সাথে সৎ সহযোগিতা চায়, তাহলে পাকিস্তান ভারতের সাথে বাণিজ্য করতেও ইচ্ছুক হবে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে

রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আজ বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকর পরিস্থিতির তৈরি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়। এ অবস্থায় দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনের বক্তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’র প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। সংহতি প্রকাশ করেন ব্লাস্টের প্রতিনিধি ফারজানা আখতার রুমি এবং এডাবের প্রতিনিধি সমাপিকা হালদার। সঞ্চলনা করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী। 

ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, রাষ্ট্রের নীতি হওয়া উচিত– দুষ্টের দমন, শিষ্টের প্রতিপালন। কিন্তু রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

মালেকা বানু বলেন, সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়– তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে। নারীকে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। মব সহিংসতা, হয়রানিমূলক ঘটনা এবং নারীকে অবরুদ্ধ রাখতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকেই তুলে ধরছে আজ। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ