এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি সোমবারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থীর প্রবেশ স্থগিত থাকবে।

এর মানে, সপ্তাহের এই দুই দিন (সোম ও বৃহস্পতিবার) অনুমোদিত কার্ডধারী ছাড়া কেউ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।

গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

যুগ্ম সচিব মো.

জসিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভা এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগপর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ স্থগিত থাকবে। বিষয়টি সদয় অবগতি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস দিয়ে মুক্তি দেওয়া এবং রাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

আজ বুধবার রাত পৌনে ৮টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে সমবেত হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এ সময় তারা ‘রাজাকারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘আল বদরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘রাবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’; ‘আমার সোনার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের আপিল বিভাগ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার এটিএম আজহারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তাদেরই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সাহায্যে আল বদরের ভূমিকায় তৎকালীন ছাত্রসংঘের রংপুর বিভাগের সভাপতি এটিএম আজহার সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তিনি কোনোভাবেই নিরপরাধ একজন ব্যক্তি নন। একজন চিহ্নিত আল বদর। তার রায়ের প্রতিবাদে গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের নামে শিবিরের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এ সময় এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট হামলাকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। 

বক্তারা আরও বলেন, ‘চব্বিশের পতিত স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে দেশ পরিচালনা করেছিল এবং বিচারব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। চব্বিশের গণঅভ্যত্থানের পরেও দেখা যাচ্ছে, একটি মহল একই নীতিতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্লজ্জ রায় দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা এই দেশ দেখতে চাই না। গতকাল যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করে যারা একই নীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে; তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আরেকটি মানুষের ওপরে যদি তারা এ ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি প্রয়োগ করে তাহলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে  নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ থেকে এর প্রতিবাদ শুরু হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থলভাগে, ৫ বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে
  • ফরিদপুরে নিখোঁজ ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
  • দুর্বল হচ্ছে নিম্নচাপ, শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির আভাস
  • নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
  • শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘ্নিত করছে: ছাত্র ফ্রন্ট
  • চট্টগ্রামে পরিবেশ সাংবাদিকতা নিয়ে ইউনিলিভারের ৩ দিনব্যাপী কর্মশালা
  • ৯ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
  • পদত্যাগ করতে পারেন ফারুক, আমিনুলকে নিয়ে আলোচনা
  • ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল