প্রিয় মদিনা, মসজিদে নববি এবং অন্যান্য
Published: 29th, May 2025 GMT
মক্কা থেকে ২৯০ মাইল উত্তরে মদিনা। শহরটি লোহিত সাগরের পাড় থেকে ৯০ মাইল পূর্বে। ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর মদিনা। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত শহর এটি। মদিনা প্রদেশের রাজধানী মদিনা আল মুনাওয়ারাহ, যার অর্থ আলোকিত শহর।
মদিনায় ৬২২ সালে মুহাম্মদ (সা.) মসজিদে নববি নির্মাণকাজ শুরু করেন। নবীজি (সা.
মুহাম্মদ (সা.) বললেন, তিনি যে উটের পিঠে চড়ে আসবেন, সেই উটটি যেখানে থামবে, সেখানেই হবে মসজিদ। দেখা গেল, উট যেখানে বসল, সেটি দুইজন এতিমের জায়গা। তখন নবী (সা.) আবু বকর (রা.)-কে বললেন, তাদের জমির মূল্য পরিশোধ করে দিতে। এরপর তিনি মসজিদের নকশা করেন এবং অন্য মুসলিমদের সহায়তা নিয়ে তা বানানো শুরু করলেন। মসজিদটি
বানাতে যতদিন লেগেছিল, ততদিন তিনি সাহাবি আবু আইয়ুব আল-আনসারি (রা.)-এর বাড়িতে ছিলেন।
পবিত্র কোরআনের প্রায় অর্ধেক মদিনায় নাজিল হয়েছে। মদিনা আরও কয়েকটি নামে পরিচিত– ইয়াসরিব, তায়বা, আল-আজরা, আল-মুবারাকাহ, আল-মুখতারাহ ইত্যাদি।
মসজিদে নববি-সম্পর্কিত তথ্য
পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা দরজা ও নামাজের জায়গা রয়েছে। মসজিদে প্রবেশের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন। তারা কারও সঙ্গে বড় আকারের ব্যাগ থাকলে তা চেক করে থাকেন। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে ২২৯টি দরজা, ১৯৬টি স্থির ও চলমান গম্বুজ ও ১০টি মিনার রয়েছে। মসজিদের প্রতিটি বড় প্রবেশ দরজার ফটকে নামাজের সময়সূচি টাঙানো আছে।
মসজিদের চত্বরের চারপাশে ২৬২টি সানশেড বৈদ্যুতিক ছাতা রয়েছে। এসব ছাতা দিনের বেলায় খোলা থাকে এবং রাতে বন্ধ থাকে। মসজিদের ভেতরে সব জায়গায় জমজম কূপের পানির কনটেইনার পাওয়া যায়। মসজিদের ভেতরে জুতা-স্যান্ডেল রাখার জন্য অসংখ্য শেলফ রয়েছে। পর্যাপ্ত চেয়ার, বুকশেলফ ও রেহাল আছে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে কাজ করেন। তাদের অধিকাংশই পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিক। মসজিদের মধ্যে অনেক তাক রয়েছে। সেখান থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে পড়তে পারেন।
ঋতুভেদে এখানে সময় কিছুটা পরিবর্তন হয়। মসজিদে নববির চারপাশে কিছু মিউজিয়াম ও এক্সিবিশন হল আছে। এগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। কবরস্থান ফজরের নামাজের পরে, বিকেলে আসরের নামাজের পরে জিয়ারতের জন্য খোলা থাকে।
মদিনার ঐতিহাসিক স্থান
মদিনার ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা যায়। ফজর নামাজের পর বের হলে সবকিছু ভালোভাবে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। মসজিদে নববির সামনে ও শহরের অন্যান্য রাস্তায় চালকেরা ‘জিয়ারা, জিয়ারা’ বলে যাত্রীদের ডাকাডাকি করেন। জিয়ারা মানে ভ্রমণ।
কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন। এই জিয়ারা প্যাকেজে ওহুদ পাহাড়, মসজিদে কুবা ও মসজিদে কিবলাতাঈন ঘুরে দেখা যায়। এতে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ রিয়াল খরচ পড়ে। অবশ্য এই প্যাকেজে খন্দক নেই। খন্দক আলাদাভাবে যেতে হয়।
মসজিদে কিবলাতাঈন
কিবলাতাঈন শব্দের অর্থ হলো দুটি কিবলা। মসজিদে কিবলাতাঈন হলো দুই কিবলার মসজিদ। রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে এখানে নামাজ আদায়ের সময় কিবলা পরিবর্তনের ওহি নাজিল হয়। ওহি পাওয়ার পর নামাজের মধ্যে আল-আকসা থেকে মুখ ঘুরিয়ে কাবামুখী হয়ে নামাজ আদায় করেন তিনি। এ জন্য এই মসজিদের নাম কিবলাতাঈন। ভেতরে মূল অংশ অক্ষত রেখে চারদিকে দালান করে মসজিদটি বাড়ানো হয়েছে।
ওহুদ পাহাড়
ওহুদ পাহাড় মদিনার সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। পাথরের এই পাহাড়ের উচ্চতা ৩৫০ মিটার। পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়টির প্রস্থ ১০০ থেকে ৩০০ মিটার। ওহুদ শব্দের অর্থ এক বা একক। এটি অন্যান্য পাহাড় থেকে স্বতন্ত্র ও একক বলে ওহুদ নামকরণ করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় যুদ্ধ হয় এই পাহাড় ঘিরে। দুই মাথাওয়ালা একটি পাহাড়, মাঝখানে কিছুটা নিচু। তৃতীয় হিজরির শাওয়াল মাসে ওহুদ যুদ্ধ হয়। পাহাড়টি মূল্যবান পাথরে সমৃদ্ধ। পাহাড়ের পূর্বে বিমানবন্দর রোড ও পশ্চিমে আল-উজুন গ্রাম।
মসজিদে গামামাহ
গামামাহ শব্দের অর্থ বৃষ্টি। বৃষ্টির জন্য হজরত মুহাম্মদ (সা.) এখানে নামাজ আদায় করেছেন। তাই মসজিদটির নাম রাখা হয় গামামাহ মসজিদ। রাসুল (সা.) এখানে প্রথম ঈদের নামাজ আদায় করেন। একে ঈদগাহের মসজিদও বলে।
খন্দক
আরব ও ইহুদি গোত্রগুলো একবার সম্মিলিতভাবে মদিনা অবরোধ করেছিল। একে আজহাবের যুদ্ধও বলা হয়। তবে এটি খন্দকের যুদ্ধ নামে বেশি পরিচিত। খন্দক অর্থ পরিখা। পরিখা খননের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে কাবু করার নতুন রণকৌশল ব্যবহার হয়েছিল এই যুদ্ধে।
মুসলমানরা আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধের ময়দানে দীর্ঘ পরিখা খনন করেন। হজরত সালমান
ফারসি (রা.)-এর পরামর্শে মদিনার সব প্রবেশপথে পরিখা খনন করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন মুসলমানরা।
বাদশাহ ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
মদিনা শহরে তাবুক সড়কে বাদশাহ ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স। হজ শেষে হাজিরা বিমানবন্দর ও হজ টার্মিনাল দিয়ে দেশে ফেরার সময় তাদের হাতে উপহার হিসেবে পবিত্র কোরআন দেওয়া হয়। এখান থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ কপি কোরআন শরিফ ছাপা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় পবিত্র কোরআনের অর্থ ও তাফসির মুদ্রণ, ভিডিও, সিডি, ক্যাসেট আকারে প্রকাশ করা হয় এখান থেকে। রয়েছে কোরআন গবেষণাকেন্দ্র, পাঠাগার। এখানে পবিত্র কোরআন বিনামূল্যে বিলি করা হয়।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারকে সালাম
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.)-এর কক্ষেই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত হয় এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। মসজিদ সম্প্রসারণ করার পর বর্তমানে তাঁর কবর মোবারক মসজিদে নববির অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
রাসুলে করিম (সা.)-এর রওজা মোবারকের পাশে ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর কবর রয়েছে।
হজরত আবু বকর (রা.)-এর রওজার কাছে দাঁড়িয়ে পাঠ করুন: আসসালামু আলাইকা ইয়া খলিফাতা রাসুলিল্লাহি আবু বকর (রা.)।
এবার ডান দিকে সরে গিয়ে হজরত ওমর (রা.)-এর রওজা মোবারক বরাবর দাঁড়িয়ে পাঠ করুন: আসসালামু আলাইকা ইয়া আমিরাল মুমিনিন ওমর ফারুক (রা.)।
তারপর সালাম পাঠ করুন
এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মান ও মর্যাদার কথা স্মরণ করে সালাম পেশ করতে হয়। এভাবে সালাম পাঠ করতে পারেন—
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবি ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া নাবিয়াল্লাহ।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজনিবিন।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া খায়রা খালকিল্লাহ।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদাল মুরসালিন।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান নাবিয়্যিন।
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।
দোয়া কবুলের স্থান
বায়তুল্লাহয় যখন নজর পড়ে
মাকামে ইবরাহিম
হাজরে আসওয়াদ
মাতাফ, মুলতাজাম
জমজম কূপ, সাফা ও মারওয়া
হাতিমের মধ্যে, মিনা, মসজিদে খায়েফ
কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানে
মসজিদে নামিরাহ
আরাফাতে, মুজদালিফায়
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজ ম হ ম মদ ম ব রক র জন য মদ ন র প ঠ কর র অর থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রানওয়ে প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ানোর জন্য কতটা নিরাপদ
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম আকাশপথ। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বিমান, কার্গো, ভিআইপি ও সামরিক-বেসামরিক বিমান, হেলিকপ্টার ওঠানামা করছে এই একমাত্র আন্তর্জাতিক হাব থেকে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সলো ফ্লাইট প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত বা নিরাপদ নয়, কারণ এখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিমানবন্দরটি একটি নিয়ন্ত্রিত ক্লাস সি–ডি এয়ারস্পেসের মধ্যে পড়ে, যেখানে প্রতিটি ফ্লাইটকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপে যোগাযোগ রাখতে হয়।
একজন নতুন প্রশিক্ষণার্থী পাইলট, বিশেষ করে একা থাকার সময়, এ ধরনের জটিল রেডিও যোগাযোগ ও সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে মানসিকভাবে চাপে পড়ে, ককপিট ওয়ার্কলোড বা ককপিটে কাজের চাপ বেড়ে যায়, যা বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করে।
এ ছাড়া এই বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭ বা এয়ারবাস এ-৩৩০-এর মতো বড় বিমানগুলো ওঠানামা করে, যেগুলোর পেছনে তৈরি হওয়া ওয়েক টারবুলেন্স বা আকাশ ঝাঁকুনি ছোট প্রশিক্ষণ বিমানের জন্য মারাত্মক বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।
আবার কোনো কারণে এই যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হলে মাঝ আকাশে সংঘর্ষও হতে পারে। এর ওপর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ, ফলে কোনো ইমার্জেন্সি বা বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি অবতরণের উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
সবশেষে এই বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত কোনো আলাদা সময়সূচি বা নির্দিষ্ট ট্রেনিং এলাকা নেই, যা অনেক দেশের প্রশিক্ষণবান্ধব বিমানবন্দরগুলোতে থাকে। এসব কারণেই এই বিমানবন্দর ছাত্র পাইলটদের একক ফ্লাইট অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত নয়। বিকল্প হিসেবে লালমনিরহাট, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, যশোরের মতো তুলনামূলকভাবে কম ব্যস্ত ও নিরাপদ বিমানবন্দরগুলো প্রশিক্ষণের জন্য বেশি কার্যকর ও নিরাপদ বলে বিবেচিত।
যেদিন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম এফ-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে সলো ফ্লাইটে (একা বিমান নিয়ে) উড়েছিলেন, সেদিনের আবহাওয়া ছিল একেবারে অনুকূলে—উড়ানের জন্য যথাযথ। তৌকির নিঃসন্দেহে একজন মেধাবী, দক্ষ ও চৌকস বৈমানিক।
আশির দশকে যখন ঢাকা রানওয়ে তৈরি হয়, তা শহর থেকে দূরে নিয়ম মেনেই তৈরি হয়েছিল। রানওয়ে শহরে ঢোকেনি। আমরা আমাদের শহর বানিয়ে রানওয়ে গিলে খেয়েছি। এখন যদি আরও নতুন রানওয়ে বানাই, লাভ হবে কী?তাঁকে সলো ফ্লাইটের অনুমতি প্রদানকারী প্রশিক্ষকও নিঃসন্দেহে একজন অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ পাইলট। একজন শিক্ষার্থী পাইলটকে ১০০-তে ১০০ বিবেচনা করেই প্রশিক্ষক তাঁর ছাত্র পাইলটকে একা বিমান চালাতে পাঠান। প্রতিটা পদক্ষেপে কোথায় কেমন জরুরি পরিস্থিতি হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে সেই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়গুলো বাস্তবিকভাবেই হাতে–কলমে আকাশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব শেষ হওয়ার পরই একজন প্রশিক্ষণার্থী পাইলটকে একক ফ্লাইট বা একা বিমান উড়াতে দেওয়া হয়।
একজন বিমানচালক হিসেবে আমার প্রথম প্রশ্ন, ঢাকা রানওয়ের আশপাশে কোথাও কি এই অনুশীলনগুলো করা হয়েছে? ফাঁকা জায়গাটা কোথায়?
ঢাকা টাওয়ার যখন প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের একক ফ্লাইটের অনুমতি দিল, তখন কি টাওয়ার জানত না, সেই সময় রেগুলার শিডিউল ফ্লাইটের অবতরণ আছে এবং নিয়মিত ট্রাফিক চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে এ ধরনের ফ্লাইটের অনুমতি দিলে?
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি। অন্যদিকে বিধস্ত বিমানের বিভন্ন অংশ সংগ্রহ করেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা। ২২ জুলাই