লালমনিরহাটে ৬ ভারতীয় নাগরিক বিজিবির হাতে আটক
Published: 31st, May 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছয় ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার দুপুরে বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা- ২) বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুজন নারী। তারা সকলেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইনের শিকার বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যে।
আটক ভারতীয় ব্যক্তিরা হলেন, আসাম রাজ্যের জামগুড়ি (গোলাঘাট) গ্রামের মৃত সেলিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে মো.
বিজিবির জানায়, গত ২৮ মে রাতে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ৭৮ বিএসএফের গীতলদহ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ওই ছয় ব্যক্তিকে সীমান্ত পিলার ৯০৮/এস এর নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করেছিল। পরে তারা ওই ছয় জন স্থানীয় এক ব্যক্তির অধীনে থাকার পর শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় বিজিবি গোপন সংবাদের মাধ্যমে ওই ছয় ভারতীয় নাগরিককে আটক করে।
এ বিষয়ে ভারতীয় নাগরিক কিসমত আলী (৬৩) বলেন, ‘আমার জন্মস্থান ভারতের আসামের নৌহাটি। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ডসহ সকল কাগজ-পত্র আছে। বাড়ি-ঘর আছে। তবুও আমাকে জোর করে বাংলাদেশি বানানো হয়েছে। দুই বছর জেল খেটেছি।’
এ ঘটনায় ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম সমকালকে বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক করা হয়েছে। আমরা আটক ভারতীয়দের সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে বিএসএফকে দিয়েছি। তার জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে শনিবার জানাবে। যদি ভারতীয় হয় তাহলে তারা ফেরত নেবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আস ম র
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।