লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছয় ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার দুপুরে বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা- ২) বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুজন নারী। তারা সকলেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইনের শিকার বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যে।

আটক ভারতীয় ব্যক্তিরা হলেন, আসাম রাজ্যের জামগুড়ি (গোলাঘাট) গ্রামের মৃত সেলিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে মো.

নিজাম আহমেদ (৪৮),  একই রাজ্যের ইসলামপুরের মেরাপানি, গোলাঘাট গ্রামের মজিবেতের ছেলে মো: আব্দুল গফুর (৫৬), একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে হাফিজা বেগম (৩৫), আমীর আলীর মেয়ে নুরেজা বেগম (৪৫),  আসামের দলগাও (দরং) নৌহাটি গ্রামের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. কিসমত আলী (৬৩) ও একই গ্রামের নুরনবী হোসেনের ছেলে মো. রহমত আলী (৩৫)।

বিজিবির জানায়, গত ২৮ মে রাতে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ৭৮ বিএসএফের গীতলদহ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ওই ছয় ব্যক্তিকে সীমান্ত পিলার ৯০৮/এস এর নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করেছিল। পরে তারা ওই ছয় জন স্থানীয় এক ব্যক্তির অধীনে থাকার পর শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় বিজিবি গোপন সংবাদের মাধ্যমে ওই ছয় ভারতীয় নাগরিককে আটক করে।

এ বিষয়ে ভারতীয় নাগরিক কিসমত আলী (৬৩) বলেন, ‘আমার জন্মস্থান ভারতের আসামের নৌহাটি। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ডসহ সকল কাগজ-পত্র আছে। বাড়ি-ঘর আছে। তবুও আমাকে জোর করে বাংলাদেশি বানানো হয়েছে। দুই বছর জেল খেটেছি।’

এ ঘটনায় ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম সমকালকে বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক করা হয়েছে। আমরা আটক ভারতীয়দের সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে বিএসএফকে দিয়েছি। তার জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে শনিবার জানাবে। যদি ভারতীয় হয় তাহলে তারা ফেরত নেবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আস ম র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী