গাজীপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতি
Published: 31st, May 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বাড়িতে আবিদা সুলতানার বাবা ও মা ছিলেন। তাঁদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে ওই বাড়িতে ঢোকে। তারা ডিআইজি আবিদা সুলতানার বাবা নাজমুল আলমের হাত-পা বেঁধে রাখে। ডাকাতেরা তিনতলা ভবনের প্রতিটি তলায় মালপত্র তছনছ করে। তারা টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
নাজমুল আলম বলেন, উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। গতকাল রাত তিনটার দিকে ১০-১২ জনের একদল জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢোকে। তারা বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। দেশি ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। ঘরে থাকা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। পরে তাদের ডাক–চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে পুলিশ আজ শনিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।