প্রায় সাত বছর পর পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সালাউদ্দিন তালুকদারকে সভাপতি ও মাহমুদ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

আজ মঙ্গলবার সকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি করা হয়েছে রায়হান রাজুকে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মল্লিক।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

কমিটি ঘোষণার পর পিরোজপুরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা ছাত্রদলের নতুন সভাপতি সালাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘দল আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছে। আর কিছু চাওয়ার নেই। আজ থেকে তোমরাই আমাদের নেতা; আমি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মী।’

এদিকে নতুন দায়িত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন রাজপথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। জেলজুলুম আমার নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিল। তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ