এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি
Published: 4th, June 2025 GMT
সরকারের ২০২৫-২০২৬ এর প্রস্তাবিত বাজেটে সিলিন্ডারের ওপর ভ্যাট ৭.৫% থেকে ১০% পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করবে। এলপিজি অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বুধবার এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমিরুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে এবং সরকার ইতিমধ্যে গৃহস্থালি গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ পরিবারের জন্য এলপিজি একমাত্র কার্যকর বিকল্প জ্বালানি হিসেবে রয়ে গেছে। বর্তমানে বেসরকারি খাত প্রতিবছর ১৫ লক্ষ টনেরও বেশি এলপিজি আমদানি করে, যার ৯৭% রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রতিদিন প্রায় ২ এমএমসিএফডি প্রাকৃতিক গ্যাসের সমতুল্য এবং দেশের প্রায় ৪০ লক্ষ পরিবারের চাহিদা পূরণ করে। এলপিজি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে জীবশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসবে বন উজাড় কমানো সম্ভব হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সিলিন্ডারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা স্বল্প আয়ের জনগণের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে। বর্তমানে ৪ কোটিরও বেশি সিলিন্ডার বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রতিবছর এ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানির প্রাপ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়বে।
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে এই ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এলপ জ গ য স প রস ত ব র জন য এলপ জ ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব