পরিবেশ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পারে, কী পারে না
Published: 5th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশ। এখানকার বনজ, জলজ ও খনিজ সম্পদের বৈচিত্র্য আমাদের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। কিন্তু শিল্পায়ন, নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি নাগরিক অসচেতনতার কারণে পরিবেশের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বাস্তবতায় পরিবেশ রক্ষায় নানা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বটে, তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই আইনগুলো কতটা কার্যকরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে এবং তা বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রেই–বা কোন কোন সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে প্রচলিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আইন রয়েছে, যেমন ১৯৯৫ সালের বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত), ১৯২৭ সালের বন আইন, ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, একই বছরের পানি আইন এবং ২০২১ সালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা।
এসব আইনের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ), বনভূমি সংরক্ষণ, বায়ু ও পানিদূষণ রোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে।
এসব আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যদিও এসব আইনে পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু তা প্রধানত পরোক্ষ এবং সহায়ক।
উদাহরণস্বরূপ ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরই পরিবেশ সংরক্ষণের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন‘গণতান্ত্রিক’ পুলিশি ব্যবস্থার রূপরেখা যেমন হতে পারে২০ মার্চ ২০২৫এই আইনের ৪ ক(১) উপধারায় বলা হয়েছে, মহাপরিচালক বা তাঁর অধীন কোনো কর্মকর্তা প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাইতে পারবেন এবং উক্ত সংস্থাকে তা প্রদান করতে হবে।
তবে এখানেও পুলিশের ভূমিকাকে নির্ধারিত কোনো কর্তৃত্বের রূপে বিবেচনা করা হয়নি।
বন আইন, ১৯২৭-এ কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। এই আইনের ৫২ ধারায় পুলিশের বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পত্তি জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
৬৪ ধারায় পরোয়ানা ব্যতীত বন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সুযোগ আছে এবং ৬৬ ধারায় বন অপরাধ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৭৯ ধারায় স্থানীয় জনগণ বন অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে, এমন বিধান রয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, বন আইনের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা কিছুটা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং বন বিভাগের নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন।
তবে এই আইনে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি কোনো ভূমিকার উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুনপুলিশ সংস্কার কি আদৌ হবে, কতটুকু হবে২৯ মার্চ ২০২৫একই অবস্থা দেখা যায়, ২০১৩ সালের পানি আইন এবং ২০২১ সালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালাতেও। পানি আইনের নির্বাহী কমিটিতে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিত্ব থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশের অংশগ্রহণের কোনো স্থান নেই।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে; পুলিশের উল্লেখ নেই।
সার্বিকভাবে বলা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণে প্রচলিত আইনে পুলিশকে সহায়ক ভূমিকায় রাখা হয়েছে, তবে তাদের প্রত্যক্ষ ও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ সীমিত।
ফলে এসব আইনের বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সমন্বয় এবং আন্তপ্রতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তবে আশাব্যঞ্জক কিছু দিকও রয়েছে। যেমন পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ) বাধ্যতামূলক হওয়ায় প্রকল্প গ্রহণের আগেই তার পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (ইটিপি) স্থাপন করা হয়েছে। বন আইন প্রয়োগ করে কয়েকটি অঞ্চলে সংরক্ষিত বন এলাকা ঘোষণা করাও সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুনপুলিশ কোথাও নরম, কোথাও কেন গরম?২১ জানুয়ারি ২০২৫তবে সীমাবদ্ধতাগুলো বেশ সুস্পষ্ট। আইন প্রয়োগে ঘাটতি রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ পরিবেশবিরোধী কাজকে প্রশ্রয় দেয়।
সাধারণ মানুষ ও অনেক উদ্যোক্তার মধ্যেই পরিবেশ সংরক্ষণসংক্রান্ত আইন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবল সীমিত, প্রযুক্তি স্বল্পতায় দূষণের প্রকৃত অবস্থা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। দুর্নীতি ও স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাবও পরিবেশবিরোধী প্রকল্প অনুমোদনে ভূমিকা রাখছে।
পরিবেশবিষয়ক আইন বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আইন প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—পুলিশ বা অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সরাসরি অভিযানে পাঠানো বা মামলা করার সুযোগ না থাকায় বাস্তবিক প্রয়োগ দুর্বল থেকে যাচ্ছে।
এ বাস্তবতায় কিছু সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় নিশ্চিত করে, তাদের যথাযথ ক্ষমতায়ন করে পরিবেশ আইনের কঠোর প্রয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ আরও কার্যকর হতে পারে।
শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়িয়ে জনগণের মধ্যে পরিবেশবিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি জরুরি। পরিবেশ অধিদপ্তরের বাজেট ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরাসরি সাধারণ জনগণ, আইনজীবী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গ্রহণ এবং সে ভিত্তিতে পুলিশ বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্ত ও মামলা করার সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর আইন আছে, তবে বাস্তবায়নের জায়গায় ঘাটতি প্রকট।
এ আইনের প্রয়োগকে শক্তিশালী করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও জনসচেতনতার সমন্বয় ছাড়া উপায় নেই।
পরিবেশ রক্ষা শুধু আইন বা উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয় নয়—এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।
মো.
শাহ্জাহান হোসেন পিপিএম, উপপুলিশ কমিশনার, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত এসব আইন অন য ন য পর ব শ র ই পর ব শ গ রহণ র বন আইন ক ষমত ন আইন আইন র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের বাজেট বিলকে বিরক্তিকর ও জঘন্য আখ্যা দিলেন মাস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রস্তাবিত বাজেট ও কর বিলকে বিরক্তিকর ও জঘন্য আখ্যা দিয়েছেন ধনকুবের ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ইলন মাস্ক। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এক মাস আগে বিলটি অনুমোদিত হয়। প্রস্তাবিত বিলে ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ডলারের করছাড়, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে অতিরিক্ত বরাদ্দ ও সরকারের ঋণসীমা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই বিল মোটেও মনঃপূত হয়নি ইলন মাস্কের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একাধিক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘এই অবিশ্বাস্য ও অপচয়মূলক বিলের কারণে বাজেট ঘাটতি ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা আড়াই লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। ফলত মার্কিন নাগরিকদের ওপর অমানবিক ঋণের বোঝা চাপবে। যারা এই বিলে ভোট দিয়েছে, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’
২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করেছেন ইলন মাস্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। এরপর ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইলন মাস্ক প্রশাসনের ডিওজিই নামের পরামর্শক বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এর মধ্যে ইলন মাস্কের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে তাঁর শত্রু তৈরি হয়। এমনকি টেসলার বিক্রয়কেন্দ্রে হামলা পর্যন্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের নীতিগত বিরোধও তৈরি হয়। এ পরিস্থিতিতে তিনি গত ৩১ মে হঠাৎ পদত্যাগ করেন। বাজেট হ্রাসে কাজ করছিল সেই দল। প্রশাসন ছাড়ার পর এটাই মাস্কের প্রথম প্রকাশ্য ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট মাস্কের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত। প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, নানা সমালোচনা থাকলেও এ বিলের বিষয়ে ট্রাম্প এখন কঠোর অবস্থানে আছেন। এই বিলের নাম ‘বিগ বিউটিফুল অ্যাক্ট’।
বিলটির বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: ২০১৭ সালের করছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি, ঋণসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব, অবৈধ অভিবাসীদের বিপুল হারে বহিষ্কারে অর্থায়ন, প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো ও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, যেগুলো ‘পোর্ক ব্যারেল’ হিসেবে পরিচিত। মার্কিন রাজনীতিতে ‘পোর্ক’ শব্দটির অর্থ হলো, বিশেষ নির্বাচনী স্বার্থে বরাদ্দ হওয়া অর্থ—এই অর্থ ব্যয়ে প্রায়ই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
এই বিল ঘিরে রিপাবলিকান দলের ভেতরেই বিভাজন তৈরি হয়েছে। সিনেটে এ নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হবে, এমন সম্ভাবনা আছে। কেন্টাকির রিপাবলিকান সিনেটর রান্ড পল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলে তিনি বিলটির পক্ষে ভোট দেবেন না। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘কেন্টাকির মানুষ পলকে সহ্য করতে পারে না, তার মতামত পাগলামির শামিল।’
এদিকে রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিয়স জানিয়েছে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইলন মাস্কের স্টারলিংকের স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে সরকারি সেবা নেবে, এটা স্বার্থের সংঘাত বলে মনে করে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিল নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘ইলন মাস্ক এই পুরো প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন। তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন। সেই তিনিও বলেছেন, বিলটি খারাপ। আমরা কল্পনাও করতে পারি না, এটি কতটা খারাপ হতে পারে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা চান, আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলটি কংগ্রেসে পাস হয়ে আইনে পরিণত হোক।
এদিকে সরকারি ব্যয় হ্রাসে অনড় অবস্থানে থাকা রিপাবলিকানদের মন জয়ে ট্রাম্প আলাদা পরিকল্পনারও কথা বলেছেন। তাঁর প্রস্তাব, ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯৪০ কোটি ডলার খরচ কমানো হবে। এই ব্যয় হ্রাস পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি কমবে বিদেশি সহায়তা, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনপিআর ও পিবিএসের অর্থায়ন।
এদিকে বাজেট বিল নিয়ে মাস্ক রাজনৈতিক হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা আমেরিকান জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, আগামী নভেম্বরে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’