বিরোধ মীমাংসার পরই হামলা, কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ আহত ৭
Published: 8th, June 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুপক্ষের বিরোধ মীমাংসার পরই হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের তারার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাব উদ্দীন রাফেল (৩৬), মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইসমাইল ইসলাম (২৮), জাকির হোসেন (৪৮), সোহেল রানা (২৫), রাজু মিয়া (৫২), বাবু মন্ডল (২৬) ও বুলবুল আহমেদ (৪০)। তাদের সবার বাড়ি মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিকের সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইসমাইল হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে কৃষকদল নেতা সাহাব উদ্দীন রাফেলসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলে অনিক সেখান থেকে চলে যান। এর কিছু সময় পরে অনিক ও তার বাবা লোকজন নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রাফেলদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সাত জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, চার জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা
সাহাব উদ্দীন রাফেল মুঠোফোনে বলেন, ‘‘ঈদের দিন ভোরে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসি। সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজারে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সেই সময় সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক এসে জানায়, তার বাবার সঙ্গে ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন খারাপ আচরণ করেছেন। এসময় উভয়ের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। এর কিছু সময় পর অনিক তার বাবা রবিউল ইসলাম খাজাসহ আরো কিছু লোকজনকে নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে মামলা করব।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রবিউল ইসলাম খাজা ও অনিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘‘হামলার বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/মাসুম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ছ ত রদল র ক ষকদল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউনিয়ন সচিবকে পেটানোর অভিযোগে কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতাকে অব্যাহতি
দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম ও হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো: ফাহিম উদ্দিনের সই করা ভিন্ন ভিন্ন চিঠির মাধ্যমে ওই দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কৃষকদলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উত্তর সাংগঠনিক থানা শাখার আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবিরকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
যুবদলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পেশিশক্তির প্রদর্শন, জনমনে ভীতি সঞ্চার এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেন ইলিয়াছ ও সদস্য সচিব মো. ফাহিম উদ্দিনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে হাতিয়া উপজেলার আওতাধীন ১নং হরণী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. সোহেল উদ্দিনের প্রাথমিক সদস্যপদসহ যুবদলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে হাতিয়া হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জেলেদের চাল বিতরণকালে নিজেদের পছন্দের লোককে সিলিপ না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রনে আনে।
এরপর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিদের্শে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।