গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের লোকজনের অতর্কিত হামলায় কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম খাজা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক সদস্য।

আহতরা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাব উদ্দীন রাফেল (৩৬), মহিমাগঞ্জ রাজনৈতিক থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসমাইল ইসলাম (২৮), জাকির হোসেন (৪৮), সোহেল রানা (২৫), রাজু মিয়া (৫২), বাবু মন্ডল (২৬) ও বুলবুল আহম্মেদ (৪০)। তাদের সবার বাড়ি মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে।

গতকাল শনিবার ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের তারার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিকের সঙ্গে মহিমাগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কৃষকদল নেতা সাহাব উদ্দীন রাফেলসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলে অনিক ওই স্থান ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই অনিক ও খাজা তাদের লোকজনসহ এসে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাফেলদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় সাতজন আহত হন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সোহেল রানার মাথায় ৩৬টি সেলাই, রাজু ও জাকিরের মাথায় সাতটি করে সেলাই এবং বাবু মন্ডলের মাথায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অন্যদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় সোহেল রানা ও রাজুকে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে কৃষকদল নেতা রাফেলসহ ৪ জন চিকিৎসাধীন।

আহত সাহাব উদ্দীন রাফেল সমকালকে বলেন, ‘আমি ঈদের দিন ভোরে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি মহিমাগঞ্জে আসি। সন্ধ্যায় এলাকার নেতাকর্মী ও আমার এক পুলিশ ভাইসহ বাজারে চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক এসে জানান, তার বাবার সঙ্গে ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন খারাপ ব্যবহার করেছে। এ সময় উভয়ের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর অনিক, তার বাবা রবিউল ইসলাম খাজাসহ তার লোকজন আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীসহ আমার ওপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে গিয়ে থানায় মামলা করবো।’

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, মারামারির বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ক ষকদল ছ ত রদল সদস য র ক ষকদল

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয়  কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা 

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।

এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।

তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।

ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।

১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয়  কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা