দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে
Published: 10th, June 2025 GMT
দেশের প্রধান সব নদ ও নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১১৬টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৯৭টির পানি কমেছে।
এছাড়া ১৭টি স্টেশনের পানি বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি নদীর পানি। অববাহিকাভিত্তিক নদ-নদীর পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীতে পানির স্বাভাবিক জোয়ার বইছে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বাঁধে ধস
দেশের আবহাওয়া অধিদফতর ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী আগামী ৩ দিন বঙ্গোপসাগরে কোনো লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় নদীর স্বাভাবিক জোয়ার থাকতে পারে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। একইভাবে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে এবং ৫দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, যা তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ নদ ব পৎস ম র নদ র প ন
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।