দেশের প্রধান সব নদ ও নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১১৬টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৯৭টির পানি কমেছে।

এছাড়া ১৭টি স্টেশনের পানি বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি নদীর পানি। অববাহিকাভিত্তিক নদ-নদীর পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীতে পানির স্বাভাবিক জোয়ার বইছে।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

হবিগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বাঁধে ধস

দেশের আবহাওয়া অধিদফতর ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী আগামী ৩ দিন বঙ্গোপসাগরে কোনো লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় নদীর স্বাভাবিক জোয়ার থাকতে পারে।

এদিকে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। একইভাবে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে এবং ৫দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, যা তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ নদ ব পৎস ম র নদ র প ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিয় বিড়ালছানার অসুস্থতায় অঝোরে কাঁদছিলেন গৃহিণী

গৃহিণী নিপা আকতার পাড়ার একটি বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি বিড়ালছানা নিজের বাড়িতে এনে পুষছেন। আদর করে নাম দিয়েছিলেন ‘মিনি’। সেই ছোট্ট মিনির বয়স এখন এক বছর। কোথাও গেলে মিনিকে সঙ্গে রাখেন। হঠাৎ মিনির অসুস্থায় বিচলিত হয়ে পড়েন গৃহিণী নিপা আকতার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ মিনিকে কোলে নিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আসেন নিপা। এ সময় ছোট্ট মেয়ে তাঁর সঙ্গে ছিল। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসাকেন্দ্রে মিনি এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। এটি দেখে নিপার দুই চোখ বেয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। চিকিৎসক দ্রুত এসে মিনিকে চিকিৎসা দেন। কিছুক্ষণ পর মিনি একটু সতেজ হয়। এতে নিপা ও তাঁর মেয়ে কিছুটা স্বস্তি পান।

নিপা বেগমের বাড়ি পাশের নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর জোয়ার্দ্দারপাড়া গ্রামে। তিনি দুই সন্তানের জননী। নিপা জানান, গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক বছর আগে বিড়ালছানা এনে নিজের বাড়িতে লালন-পালন শুরু করেন। মিনি শোবার ঘরে বিছানায় থাকে। যেখানে যান মিনিও সঙ্গে থাকে। কয়েক দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ কিনে খাওয়ান। কিন্তু সুস্থ হয়নি। আজ সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়।

নিপা আকতার বলেন, ‘মিনিকে সন্তানের মতো ভালোবাসি। মিনির অসুস্থায় আমাকে বিচলিত করেছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এনে চিকিৎসা দিয়েছি। চিকিৎসকেরা কাল আবারও নিতে যেতে বলেছেন।’

প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ছাগলের চিকিৎসা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন নারী অসুস্থ বিড়ালকে কোলে নিয়ে এসে কাঁদছিলেন। বিড়ালের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. মঞ্জরুল হাসান বলেন, বিড়ালটির শরীরের তাপমাত্রা ছিল ১০৪ ডিগ্রি। ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। জ্বর কমে গেলে বিড়াল খাওয়াদাওয়া শুরু করবে বলে আশা করছেন। কাল আবার বিড়ালটি আনতে বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ