Prothomalo:
2025-11-02@21:45:09 GMT

চোখের পাতা লাফায় কেন

Published: 13th, June 2025 GMT

কারও কারও চোখের পাতা কাঁপুনি বা লাফানোর সমস্যা থাকে। হঠাৎ চোখের পাতা লাফালাফি করলে অনেকে কুসংস্কারবশত খারাপ কোনো অঘটনের সঙ্গে সম্পর্কিত করেন। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এই সমস্যার নাম ‘মাইয়োকিমিয়া’। দিনে দুবার এই সমস্যার সম্মুখীন হলে তা স্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে দাঁড়ালে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

কারণ কী

চিকিৎসকদের মতে ছয়টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চোখের পাতা কেঁপে বা লাফিয়ে উঠতে পারে। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল সেবন ইত্যাদি। বাতাসের ধুলাবালু, ময়লা, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির সংস্পর্শে আসার কারণেও চোখ লাফাতে পারে। চোখে ভাইরাস সংক্রমণ হলেও কারও কারও চোখ লাফায়।

করণীয়

চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে হবে। মুঠোফোন, টেলিভিশন ও অন্যান্য ডিজিটাল পর্দায় সময় কম ব্যয় করুন। কম আলোয় চোখের কাজ করবেন না। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। চা-কফির পরিমাণও কমিয়ে দিন। দূষিত বাতাসের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হলে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন। গুরুতর দৃষ্টিগত সমস্যা, পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা ও অ্যালার্জির সমস্যা দূর করতে সচেষ্ট হোন। দৃষ্টিগত সমস্যায় মানুষের চোখের জ্যোতি কমে আসতে শুরু করে। তখন জোর করে দেখতে গেলে চোখের পেশিতে চাপ পড়ে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে চোখের জ্যোতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রচুর পানি পান করুন। সাত-আট ঘণ্টার গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন। ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিনের ঘাটতি অনেক সময় চোখের পেশিকে ক্লান্ত করে দেয়। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবেন ডাব, দুধ, ডিম, বাদাম ও মৌসুমি ফলমূল। তারপরও বারবার চোখের পাতা লাফালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অধ্যাপক ডা.

সৈয়দ এ কে আজাদ, চক্ষুরোগবিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন, বিভাগীয় প্রধান, চক্ষুরোগ বিভাগ, আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ