শ্যামনগরে ২ বনদস্যু আটক, বন্দুক জব্দ
Published: 17th, June 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুন্দরবন-সংলগ্ন লোকালয় থেকে দুই বনদস্যুকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ সময় একটি বন্দুক ও একটি দা জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) রাত ১১টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক দুই বনদস্যু হলো—শ্যামনগর উপজেলার যতীন্দ্রনগর গ্রামের মৃত নওশাদ গাজীর ছেলে নজির গাজী (৫৫) এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বৈকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৮)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পাঁচ-সাতজন অপরিচিত লোক যতীন্দ্রনগর বাজারে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করলে দিদারুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে দিদারুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মীরগাং এলাকা থেকে নজির গাজীকেও আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাছ ধরার নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি ধারালো দা জব্দ করে পুলিশ।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/শাহীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ
জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।
গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি।
উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।