আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো একসঙ্গে থাকবে: গোলাম পরওয়ার
Published: 20th, June 2025 GMT
আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একসঙ্গে ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর মাঝে এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে। ইসলামী দলগুলো একসঙ্গে থাকবে।
শুক্রবার খুলনা মহানগরী জামায়াতে থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আল ফারুক মিলনায়তনে এ শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়।
পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে। কোনো বিদেশি প্রভুর কথায় আর দেশ চলবে না। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশে ইসলামী বিপ্লব করতে নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যদি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অধিকাংশ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীকে গণমুখী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে মানুষের সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিতে শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম ও মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।
খুলনা মহানগর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর নায়েবে আমির নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহ আলম, শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মীম মিরাজ হোসাইন, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা