নেত্রকোনায় কথা-কাটাকাটির জেরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম
Published: 23rd, June 2025 GMT
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন ভূঞাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রোকন উদ্দিন ভূঞা ওই গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। এলাকাবাসী, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় রোকন উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি ইজিবাইকে সান্দিকোনা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের আলা বক্সের ছেলে তাইজ্জত আলীর নেতৃত্বে মাসুদ মিয়া, রাকিব উদ্দিনসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রোকন উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা রোকন উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরে রোকন উদ্দিনকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোকন উদ্দিনের এক স্বজন বলেন, কিছুদিন আগে রোকনের ভাতিজা সজীব মিয়ার সঙ্গে রাকিব উদ্দিনের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করেন। তিনি ধারণা করছেন, এর জেরে এ হামলা হয়েছে।
ডাউকি গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, রোকন উদ্দিনের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা তাইজ্জত আলীর বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নেন। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে শান্ত করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তাইজ্জত আলী ও রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি
বগুড়া আদমদীঘিতে গলা কেটে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় জিডিটি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
গত সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে জিডি করে।
জিডিতে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর একটা থেকে ২টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করেন এবং বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ জানান, যে কোনো প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে নিষ্ঠুরভাবে বিড়ালটিকে গলা কেটে হত্যা এবং পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।
এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ