চমক রেখে শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
Published: 23rd, June 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শেষ হয়েছে। আগামী ২৫ জুন কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর ওয়ানডে মিশনে নামবে বাংলাদেশ। তার আগেই ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্কোয়াডে চমক হিসেবে ফিরেছেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন না লিটন। আর প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ। এছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। আজ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন দল ঘোষণা করেন।
সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের জায়গা পূরণে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজের ব্যাটিং অর্ডারেও আসতে পারে পরিবর্তন।
বিসিবির ঘোষিত স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার। সৌম্যর জায়গায় দলে ফিরেছেন নাঈম, যিনি এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফর্মে ছিলেন। অন্যদিকে, তাসকিনের সঙ্গে ফিরেছেন মউস্তাফিজুর রহমানও। পেস ডিপার্টমেন্টে আছেন তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাও। রিস্ট স্পিনে আছেন রিশাদ হোসেন, আর বাঁহাতি স্পিনে তানভীর ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা এখন না, হাজার বছর আগে থেকে আছে।
কোনো মানুষ কিংবা ধর্ম সাম্প্রদায়িক নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়। যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এইচ এম এরশাদও ’৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু–মুসলমানের ব্যবধান বুঝি না। আমি খারাপ আর ভালো লোকের ব্যবধান বুঝি। সৎ লোক–প্রতারকের ব্যবধান বুঝি। আমি সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করি না, অসাম্প্রদায়িক জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন।
দেখাতে চেয়েছেন এই দেশ বিভেদ–বিভাজনে ভরপুর। সুতরাং আমাকে সমর্থন করো। অন্য বিরোধী দল কাউকে সমর্থন করবে না। এ কারণে তিনি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।