ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক, মুসল্লিদের থানা ঘেরাও
Published: 23rd, June 2025 GMT
লালমনিরহাটে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার বিকেলে শহরের হানিফ মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- শ্রী পরেশ চন্দ্র শীল (৬৯) ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল (৩৫)। তারা পেশায় নাপিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার এক কিশোর সেলুনে চুল কাটাতে গেলে পরেশ চন্দ্র শীল তাকে উদ্দেশ করে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার যোহরের নমাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা ওই সেলুনে গিয়ে পরেশ চন্দ্রকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। পরে পরেশ চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা। পুরো বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে থানার সামনে জড়ো হতে থাকে মুসল্লিরা। এ সময় উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। পরে যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আগামী মঙ্গলবার বাদ যোহর অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে রেলওয়ে স্টেশন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আতিকুর রহমান।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী মিয়া বলেন, আটক দুইজন এর আগেও ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার একই কাজ তারা আবার করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম