সোনারগাঁয়ে এক সৌদি আরব প্রবাসীর কাছ থেকে দাবিকৃত চাদাঁ না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গত রবিবার রাতে তাকে সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তি সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও আমগাঁও এলাকার মৃত রেজাউল করিম ভূইয়ার ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি জব্দ করে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে ভূক্তভোগী প্রবাসী সোহরাব হোসেনের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে। 

জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকায় সৌদি আরব প্রবাসী সোহরাব হোসেন তার বাড়ির পাশের একটি পুকুর এক সপ্তাহ আগে মাছ চাষ করার জন্য প্রস্তুত করেন।

পরে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া ও তার লোকজন তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত রবিবার দুপুরে শাহজাহান ভূইয়ার নেতৃত্বে আলিফ ভূইয়া ও ফারজানা করিমসহ ১০-১২জনের একটি দল তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা শাহজাহান ভূইয়া বন্দুক তাক করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। 

এসময় তার স্ত্রী ফাহমিদা পারভীন এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রবাসীর সেই অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়। 

এদিকে বিএনপি নেতা শাহজাহান ভূঁইয়ার বন্দুক হাতে তর্কের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতে পুলিশ আমগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান বলেন, অস্ত্রধারী বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত লাইসেন্স করা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর শ হজ হ ন ভ ও এল ক স ন রগ বন দ ক প রব স ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন জানিয়েছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের দিনটি শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত মানুষের কাছেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের শেখায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আজকে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম, এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন রকমভাবে একটা প্রচেষ্টা, চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার জন্য।”

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে অনুপ্রাণিত করে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকারকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাব। বিএনপি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।”

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের কাজটি বাংলাদেশের অগ্রগতির মোড় ঘোরানো দিক ছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।”

তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার চার বছরে জিয়াউর রহমান দেশে আমূল পরিবর্তন আনেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তা দেশকে পরবর্তীকালে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান সম্পর্কিত বিষয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নতুন করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো বক্তব্যই বিএনপির চূড়ান্ত বক্তব্য বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে নেতারা সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
  • আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে নগরীতে গণমিছিল
  • গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল