রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পেয়ে যাবেন, এটা আর হবে না
Published: 23rd, June 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী নির্বাচনের আগে প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন করতে হবে। যে নিজে কখনো ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুই ডলার আয় করেননি, তিনি কোনো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন না। আপনারা আসবেন আর রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পেয়ে যাবেন, এটা আর হবে না। এটা মনে রাখবেন।’
আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় জানানো হয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। ৮ বিভাগ, ৪৪ জেলা ও ১৩০ উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে এবং শেষ হবে ৩০ জুন ২০২৫। প্রকল্পটির মোট বাজেট ২৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, ‘কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান না থাকলেও তাঁদের আমাদের আয় করা শেখাতে হবে। কিন্তু তাঁদের যদি কম্পিউটার সম্পর্কে কোনো ধারণাই না থাকে, তাহলে কীভাবে আয় করাব আমরা?’ এই প্রশ্নের উত্তরেই রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কাজ না পাওয়ার কথা জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
কর্মশালায় বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীরা উপস্থিত হন। এ সময় গাইবান্ধা ও গাজীপুর থেকে আসা মিতা ও মিমি আক্তার তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে আমরা নিজেদের সফলই বলব। আমরা এখন নিজেদের দক্ষতা দিয়েই কাজ করছি এবং আয়ও করছি। শেখাটা কাজে লেগেছে।’
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় নারীদের ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাত সদস্যের বাছাই ও মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার, আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, কল সেন্টার এজেন্ট ও ই–কমার্স পেশাজীবী গড়ে তুলতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ১২৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৭ হাজার ৮৪০ নারী প্রশিক্ষণ চলাকালে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয়ও করেছেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প র
এছাড়াও পড়ুন:
শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বাবুলের উঠান বৈঠক
সোমবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামেমসজিদ (প্রাথমিক বিদ্যালয়) সংলগ্ন মাঠে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল এর পক্ষে শহিদনগর এলাকাবাসী এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।
গোগনগর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় ও শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের সহ- সভাপতি সুলতান আহমদ'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ–৫ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা যদি বিএনপির ধানের শীষকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে পারেন, তাহলে শুধু শহীদনগর নয় পুরো নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাবে, পরিবর্তন হবে নারায়ণগঞ্জে। আমাদের যে প্রত্যাশা, যে চাহিদা তা ছিনিয়ে নিয়ে আসবো।
দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমি কাজ করবো। মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করবো। আপনারা সকলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন।
তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল জিয়া ফোরামের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মো. কবির হোসেন, মো. হৃদয়, জাহাঙ্গীর আলম, তোফাজ্জল হোসেন, সুলতান আহমদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শহীদ নগর এলাকা সব সময়ই বিএনপির ঘাঁটি। এখানে সব সময়ই ধানের শীষ প্রতীক জয়লাভ করে থাকে। আমরা বাবুল ভাইয়ের পক্ষে থেকে সবসময় ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাব।