প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী নির্বাচনের আগে প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন করতে হবে। যে নিজে কখনো ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুই ডলার আয় করেননি, তিনি কোনো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন না। আপনারা আসবেন আর রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পেয়ে যাবেন, এটা আর হবে না। এটা মনে রাখবেন।’

আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

কর্মশালায় জানানো হয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। ৮ বিভাগ, ৪৪ জেলা ও ১৩০ উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে এবং শেষ হবে ৩০ জুন ২০২৫। প্রকল্পটির মোট বাজেট ২৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, ‘কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান না থাকলেও তাঁদের আমাদের আয় করা শেখাতে হবে। কিন্তু তাঁদের যদি কম্পিউটার সম্পর্কে কোনো ধারণাই না থাকে, তাহলে কীভাবে আয় করাব আমরা?’ এই প্রশ্নের উত্তরেই রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কাজ না পাওয়ার কথা জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

কর্মশালায় বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীরা উপস্থিত হন। এ সময় গাইবান্ধা ও গাজীপুর থেকে আসা মিতা ও মিমি আক্তার তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে আমরা নিজেদের সফলই বলব। আমরা এখন নিজেদের দক্ষতা দিয়েই কাজ করছি এবং আয়ও করছি। শেখাটা কাজে লেগেছে।’

কর্মশালায় জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় নারীদের ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাত সদস্যের বাছাই ও মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার, আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, কল সেন্টার এজেন্ট ও ই–কমার্স পেশাজীবী গড়ে তুলতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ১২৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৭ হাজার ৮৪০ নারী প্রশিক্ষণ চলাকালে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয়ও করেছেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

আবু সাঈদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প র

এছাড়াও পড়ুন:

এক নীতির বাংলাদেশ হবে, বিদেশি কোনো প্রভু থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই বাংলাদেশ হবে এক নীতির বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ। বিদেশি কোনো প্রভু থাকবে না, বন্ধু থাকবে। এই বাংলাদেশ তাবেদারমুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিজয় র‍্যালি-পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে রাজধানী ঢাকায় এই ‘বিজয় র‍্যালি’ করেছে বিএনপি। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই ঐক্য হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য হবে আমাদের শক্তি। এই শক্তিকে সমুন্নত রেখে এই জাতিকে শীর্ষ উচ্চতায় নিয়ে যাব। সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যাব। আমাদের শক্তি হবে আমাদের ঐক্য।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে তাঁরা কোনো বিভেদ চান না। যারা বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে কথা বলছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। যারা ঐক্য ভঙ্গের চেষ্টা করছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে, গণতন্ত্রের সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের সঙ্গে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হবে। এই রাষ্ট্রকে পৃথিবীর বুকে সমৃদ্ধি ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।

শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যখনই দেশে গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা হয়েছে, তখনই জনগণ তা প্রতিহত করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যার পক্ষে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, ‘অতি দ্রুত আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করবে বলে আশা করছি।’ তবে নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী শক্তি ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে যেন কেউ ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জুলাই ঘোষণাপত্রে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস। সমাবেশে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম না থাকার বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিয়েছে। এরপরও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কারণে স্বাগত জানান তিনি।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে, মাথা নত করেনি।

র‍্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

আরও পড়ুননির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ১৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুমের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে তহবিল গঠনের দাবি
  • নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচার দেখতে চায় খেলাফত মজলিস
  • এক নীতির বাংলাদেশ হবে, বিদেশি কোনো প্রভু থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়া হলো না যুবদল নেতা মোস্তাকের 
  • এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা
  • নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকারীদের প্রত‌্যাখ‌্যা‌নের আহ্
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহরে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল