চুয়াডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা মিলন আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিলন আলীকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সই করেছেন। বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্প ও সদর থানা-পুলিশ গত শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার এতিমখানা রোডের বাসা থেকে মিলন আলীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি ৯ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি, চারটি চাপাতি, একটি চায়নিজ ছুরি, একটি রামদা ও পাঁচটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

মিলন আলী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল হোসেনের ছেলে। তাঁকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, মিলন আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। ঢাকার বংশাল থানায় তাঁর নামে আরও একটি মামলা আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার পেছনে ‘দাম্পত্য কলহ’, অপমৃত্যু মামলা

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ