কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে ফেলা বড়শিতে ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল ও ১৭ কেজি ওজনের একটি রিঠা মাছ ধরা পড়েছে। সাড়ে চার ফুট লম্বা কোরাল মাছটি ২৫ হাজার এবং সাড়ে তিন ফুট লম্বা রিঠা মাছটি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটে মাছ দুটি ধরা পড়ে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদারের উশুল আদায়কারী হামিদ হোসেন। তিনি বলেন, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ফিরোজ আহম্মদের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে।

ফিরোজ আহম্মদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে কয়েক দফা বড়শি ফেলেন। শেষ মুহূর্তে বড় একটি রিঠা (গুইজ্জ্যা) মাছ ধরা পড়ে। আবার বড়শি ফেলার কিছুক্ষণ পর আরেকটি বড় কোরাল মাছ ধরা পড়ে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ বাসস্টেশন বাজারে নিয়ে যান। কোরাল ও রিঠা মাছটির দাম যথাক্রমে ১২ হাজার ও ২৬ হাজার  টাকা হাঁকানো হয়েছিল। পরে মো.

ঈমান হোসেন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ৩৭ হাজার টাকায় মাছ দুটি কেনেন।

মো. ঈমান হোসেন বলেন, এখন প্রায় সময় নাফে বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই প্রথম বড়শিতে ১৭ কেজি ওজনের রিঠা ধরা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ বড় বাজারে কোরালটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং রিঠা মাছটি প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রির জন্য তোলা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রায় সময়ই নাফ নদীতে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। তবে এই প্রথম নাফে রিঠা মাছ ধরা পড়ার খবর শুনেছি। কোরাল ও রিঠা মাছের স্বাদও বেশ ভালো। তাই মাছ দুটির ভালো চাহিদা আছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ফ নদ বড়শ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি

ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর, বগুড়া, নোয়াখালীসহ ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছয়জন ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি এবং উপ সচিব পদ মর্যাদার নয়জন কর্মকর্তাকে নয়টি জেলায় ডিসির দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে।

যে ছয় জেলার ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে তাঁরা হলেন- বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, সিরাজগঞ্জের মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার ডিসি করা হয়েছে।

এ ছাড়া সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জের, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরের, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পাবনা জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরার, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটের, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব শামীম রহমানকে ভোলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, মাগুরার জেলা প্রশাসক ওহিদুল ইসলামকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব, পিরোজপুরের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব, বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ