বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও সততাকে ভালোবাসে তারা কখনো কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না।

আপনারা মায়ের কসম খেয়ে বলেন আপনারা কি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালোবাসেন তাহলে কখনোই এদেশে কোন খারাপ কাজ করতে পারবেন না।

পাশাপাশি মানুষের কষ্ট হয় এমন ধরনের কোন কাজ করবেন না।  আপনারা যদি কোন খারাপ কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকেন আর কোন কাজ করেন তাহলে আমি একদিন দেখব দুইদিন দেখব এরপর কিন্তু আমি আর আপনাদের সম্পৃক্ততা থাকবো না।

আমি খারাপ আপনাদের সঙ্গ ত্যাগ করব। কারন আমি কোন টাউট - বাটপারের নেতা হতে চাই না। যারা টাউট বাটপারি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করবেন আমি কিন্তু তাদেরও নেতা হতে চাই না। আমাদের আমাকে যারা কথা দিবেন তারা কথা রাখতে হবে যদি না পারবেন তাহলে আমার কাছে আসবেন না।

আমার হাজার হাজার নেতাকর্মী দরকার নাই আমার কয়েকশ' মামলা হলেই আমি এই যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারব। কারণ আমার ঈমান আমার বিশ্বাস আমার জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি অনুগত থেকে আমি রাজনীতি করতে চাই।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কারো কাছে মাথা নত করেনি। উনি কিন্তু শহীদ হয়েছেন কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নাই। 

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক, তারাব পৌরসভা ও কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী এবং মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রূপগঞ্জের বরাব আনন্দ পল্লী রিসোর্টে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আমি বুকে লালন এবং ধারণ করি। জাতি যখন নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল তখন তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এবং আমরা তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ অংশগ্রহণ করি।

ঠিক একই ভবে ৭৫ সালে যখন বাংলাদেশ আবারো নেতৃত্ব সংকট পৌঁছে ঠিক তখনই তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতার ভার গ্রহণ করেছিলেন। তখন আপনারা অনেকেই এখানে ছোট ছিলেন কেউ দেখেছেন কেউ দেখেননি। আমার সেই নেতার আদর্শ ও আস্থা ও বিশ্বাস থেকে এই দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমি এখনো এই দলের সাথেই রয়েছি।

আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আমার অন্তরে লালন ও ধারণ করি।

কারন আমি বিশ্বাস করি এই মানুষটাই এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আল্লাহতালা বিশেষ উপহার ছিল। কারণ একটাই এই মানুষটাকে এখনো বাংলাদেশের মানুষ তাদের হৃদয়ে এখনো ধারণ করে ও তার মাজারে গিয়ে এখনো শ্রদ্ধা জানাই। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহাবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহম্মেদ টুটুল, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.

মাসুদ, তারাব পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহাদ, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহম্মদ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডাঃ শাহিন মিয়া, সদস্য সচিব আলম মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক ১ম সহ- সভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ প্রধান, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, তারাব পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, কাঞ্চন পৌরসভা কৃষক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী হাওয়া বেগম, তারাব পৌরসভা ও কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল ত র ব প রসভ র রহম ন ব এনপ র র সদস য দল র স ক জ কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বদ নজরের দোয়া: ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা

‘বদ নজর’ ইসলামে একটি বাস্তব সত্য, যা মানুষের ঈর্ষা, হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করতে পারে। কোরআন ও হাদিসে বদ নজরের বাস্তবতা এবং এর থেকে সুরক্ষা লাভের উপায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তাই মুসলমানদের জন্য বদ নজর থেকে রক্ষার দোয়া ও আমল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বদ নজরের বাস্তবতা

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা যখন কোরআন শোনে তখন প্রায় তাদের দৃষ্টির দ্বারা তোমাকে পতিত করবে। আর তারা বলে: ‘সে তো অবশ্যই পাগল।’” (সুরা কলাম, আয়াত: ৫১)

রাসুল (সা.) বলেছেন: “চোখ লাগা (বদ নজর) সত্য।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৮৮)

আরও পড়ুনশিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচাতে১৫ আগস্ট ২০২৫বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া

রাসুল (সা.) বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোয়া হলো:

১. বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার দোয়া

রাসুল (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর জন্য এই দোয়া পড়তেন:

উচ্চারণ: উ‘ঈযুকুমা বি কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন, ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিল লাম্মাহ।

অর্থ: “আমি তোমাদের উভয়কে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমার মাধ্যমে আশ্রয় দিচ্ছি, প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং ক্ষতিকর বদ নজর থেকে।” (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস: ২০৬০)

২. বদ নজর থেকে রক্ষার সাধারণ দোয়া

উচ্চারণ: আ‘ঊযু বি কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শার্রি মা খালাক।

অর্থ: “আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমার মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির অশুভ দিক থেকে আশ্রয় চাই।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭০৮)

৩. বদ নজর দূর করার আমল

রাসুল (সা.) বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের মধ্যে এমন কিছু দেখে যা তাকে ভালো লাগে, তখন সে যেন তার জন্য বরকতের দোয়া করে। কারণ বদ নজর সত্য।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৫০৯)

এক্ষেত্রে দোয়া করা যায়—

উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু ফীক।

অর্থ: “আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দান করুন।”

আরও পড়ুনদোয়া কবুলের জায়গা০৪ জুন ২০২৪বদ নজর প্রতিরোধে করণীয়

১. সকালে-সন্ধ্যায় জিকির–আজকার পাঠ করা (যেমন আয়াতুল কুরসি, সুরা ফালাক, সুরা নাস)।

২. অন্যের প্রশংসায় বরকতের দোয়া করা।

৩. আল্লাহর উপর ভরসা রাখা এবং তাওয়াক্কুল করা।

বদ নজর মানুষের জন্য বাস্তব ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে আল্লাহর উপর ভরসা, কোরআনের আয়াতসমূহ পাঠ এবং রাসুল (সা.)-এর শিখানো দোয়া পাঠের মাধ্যমে মুসলমান সহজেই এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারে।

তাই প্রতিদিনের জীবনে বদ নজর প্রতিরোধের দোয়াগুলো নিয়মিত পড়া প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব।

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ