আমি কোন টাউট-বাটপারের নেতা হতে চাই না : কাজী মনির
Published: 24th, June 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও সততাকে ভালোবাসে তারা কখনো কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না।
আপনারা মায়ের কসম খেয়ে বলেন আপনারা কি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালোবাসেন তাহলে কখনোই এদেশে কোন খারাপ কাজ করতে পারবেন না।
পাশাপাশি মানুষের কষ্ট হয় এমন ধরনের কোন কাজ করবেন না। আপনারা যদি কোন খারাপ কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকেন আর কোন কাজ করেন তাহলে আমি একদিন দেখব দুইদিন দেখব এরপর কিন্তু আমি আর আপনাদের সম্পৃক্ততা থাকবো না।
আমি খারাপ আপনাদের সঙ্গ ত্যাগ করব। কারন আমি কোন টাউট - বাটপারের নেতা হতে চাই না। যারা টাউট বাটপারি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করবেন আমি কিন্তু তাদেরও নেতা হতে চাই না। আমাদের আমাকে যারা কথা দিবেন তারা কথা রাখতে হবে যদি না পারবেন তাহলে আমার কাছে আসবেন না।
আমার হাজার হাজার নেতাকর্মী দরকার নাই আমার কয়েকশ' মামলা হলেই আমি এই যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারব। কারণ আমার ঈমান আমার বিশ্বাস আমার জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি অনুগত থেকে আমি রাজনীতি করতে চাই।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কারো কাছে মাথা নত করেনি। উনি কিন্তু শহীদ হয়েছেন কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নাই।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক, তারাব পৌরসভা ও কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী এবং মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রূপগঞ্জের বরাব আনন্দ পল্লী রিসোর্টে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আমি বুকে লালন এবং ধারণ করি। জাতি যখন নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল তখন তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এবং আমরা তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ অংশগ্রহণ করি।
ঠিক একই ভবে ৭৫ সালে যখন বাংলাদেশ আবারো নেতৃত্ব সংকট পৌঁছে ঠিক তখনই তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতার ভার গ্রহণ করেছিলেন। তখন আপনারা অনেকেই এখানে ছোট ছিলেন কেউ দেখেছেন কেউ দেখেননি। আমার সেই নেতার আদর্শ ও আস্থা ও বিশ্বাস থেকে এই দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমি এখনো এই দলের সাথেই রয়েছি।
আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আমার অন্তরে লালন ও ধারণ করি।
কারন আমি বিশ্বাস করি এই মানুষটাই এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আল্লাহতালা বিশেষ উপহার ছিল। কারণ একটাই এই মানুষটাকে এখনো বাংলাদেশের মানুষ তাদের হৃদয়ে এখনো ধারণ করে ও তার মাজারে গিয়ে এখনো শ্রদ্ধা জানাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহাবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহম্মেদ টুটুল, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল ত র ব প রসভ র রহম ন ব এনপ র র সদস য দল র স ক জ কর আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি
ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর, বগুড়া, নোয়াখালীসহ ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছয়জন ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি এবং উপ সচিব পদ মর্যাদার নয়জন কর্মকর্তাকে নয়টি জেলায় ডিসির দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে।
যে ছয় জেলার ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে তাঁরা হলেন- বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, সিরাজগঞ্জের মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার ডিসি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জের, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরের, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পাবনা জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরার, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটের, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব শামীম রহমানকে ভোলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, মাগুরার জেলা প্রশাসক ওহিদুল ইসলামকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব, পিরোজপুরের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব, বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে।