ভূমি আপিল বোর্ডে চাকরি, আবেদন শেষ ২৬ জুন
Published: 25th, June 2025 GMT
ভূমি আপিল বোর্ড রাজস্ব খাতভুক্ত পদে জনবল নিয়োগে আবেদন চলছে। ৬টি পদে মোট ১৫ জন নিয়োগের এ বিজ্ঞপ্তি গত ১৪ মে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন করতে হবে।
পদের নাম ও পদসংখ্যা১. সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদের সংখ্যা: ৪
গ্রেড: ১৪
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা।
মন্তব্য: বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ (চল্লিশ) বৎসর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
আরও পড়ুন৪৩তম বিসিএস: গেজেটভুক্ত হলেন বাদ পড়া ১৬২ প্রার্থী২০ মে ২০২৫২.
সহকারী লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ১
গ্রেড: ১৬
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং লাইব্রেরি সায়েন্সে সার্টিফিকেটধারী হতে হবে। কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড হতে হবে।
৩. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ১
গ্রেড: ১৬
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে বাণিজ্য বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৪. ড্রাইভার (গাড়িচালক)
পদসংখ্যা: ৪
গ্রেড: ১৬
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাসসহ হালকা ও ভারী যানবাহন চালনার বৈধ লাইসেন্সধারী হতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৫. ডেসপাচ রাইডার
পদসংখ্যা: ১
গ্রেড: ১৮
বেতন স্কেল: ৮৮০০-২১৩১০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; (খ) মোটরসাইকেল চালনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বৈধ লাইসেন্সধারী; (গ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা।
৬. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ৪
গ্রেড: ১৮
বেতন স্কেল: টাকা-৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, ৬০৮ পদের জন্য করুন আবেদন২০ মে ২০২৫* আবেদনের বয়সসাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ (আঠারো) থেকে ৩২ (বত্রিশ) বছর। তবে সাধারণ/বিভাগীয়/কোটাধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বয়সসীমা প্রযোজ্য হবে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
* আবেদন পূরণ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে কয়েকটি শর্ত
ক. নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত বিধি–বিধান, কোটা পদ্ধতি এবং এ–সংক্রান্ত পরবর্তী কোনো সংশোধনী মানা হবে।
খ. লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।
গ. আবেদনকারী প্রার্থীকে তাঁর সর্বশেষ অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ঘ. নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্ধি বা বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
আরও পড়ুনকারা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, ১৭৪ পদে চাকরির সুযোগ১৯ মে ২০২৫আবেদন ফি কতপরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত পদের জন্য ১১২/- (একশত বারো) টাকা (পরীক্ষার ফি ১০০/- এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২/-) দিতে হবে প্রার্থীকে। ৫ ও ৬ নম্বর পদের জন্য ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা (পরীক্ষার ফি ৫০/- এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬/-) জমা দিতে হবে প্রার্থীকে। আবেদনের অনধিক ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে আবেদন ফি জমা দেবেন আবেদনকারী প্রার্থীরা। তবে সব গ্রেডের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীগণ পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা ও Teletalk–এর সার্ভিস চার্জ (ভ্যাটসহ) ৬/- (ছয়) টাকাসহ অফেরতযোগ্য সর্বমোট ৫৬/- (ছাপান্ন) টাকা আবেদনের অনধিক ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে জমা দিবেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে অনলাইনে আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনপত্র কোনো অবস্থাতেই গৃহীত হবে না।
আবেদনের নিয়মআগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ কবে: আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুনচীনের মফকম বৃত্তি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইইএলটিএসে প্রয়োজন ৬২০ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন খাতে ঋণ বিতরণ কমে গেছে
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণ ও পরিবহনসহ প্রায় সব উৎপাদনমুখী খাতে ব্যাংকঋণ বিতরণ কমে গেছে। ফলে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে এসেছে। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগের মতো এখন চাইলেই ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি ধীর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মানুষের চাহিদাও কমেছে। ফলে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিবর্তে উল্টো কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ঋণ বিতরণ কমছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের ঋণে বছরে ১০ শতাংশের বেশি সুদ যুক্ত হচ্ছে।
ঋণ কমেছে যেসব খাতেবিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা একদিকে নতুন ঋণ নিচ্ছেন না, অন্যদিকে তাঁদের ওপর পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে নির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে টানা তিন প্রান্তিক ঋণ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত অধিকাংশ খাতে ঋণের স্থিতি কমেছে। অর্থাৎ এসব খাতে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। ফলে ঋণের স্থিতি বাড়েনি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মেয়াদি ঋণ বৃদ্ধি পেলেও পরের প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে হ্রাস পেয়েছে। মার্চে মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা জুনে কমে হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মানে এখন নতুন প্রকল্প নেই বললেই চলে। মেয়াদি ঋণ মূলত নতুন প্রকল্প করার ক্ষেত্রে নেওয়া হয়।
***নির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে টানা তিন প্রান্তিক ধরে ঋণ কমে আসছে। ***পরিবহন খাতেও নতুন বিনিয়োগ নেই, বরং ঋণ কমেছে।নির্মাণ খাতের ঋণ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই খাতে ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যা কমে মার্চে ১ লাখ ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় ও জুনে ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামে। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই নির্মাণ কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। এর প্রভাবে রড-সিমেন্টের দাম ও বিক্রি দুটোই কমেছে। পরিবহন খাতেও নতুন বিনিয়োগ নেই। উল্টো গত মার্চ থেকে জুনে ঋণ কমেছে ১০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের চিত্রও একই রকম। এই খাতে ডিসেম্বরে ঋণ ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যা মার্চে বেড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা হলেও গত জুনে কমে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নেমে যায়।
কেন ঋণ কমছেএদিকে ঋণ বিতরণ যেমন কমছে, তেমনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণযোগ্য তহবিল কমে আসছে। দেশে গত জুন মাসের শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। দেশে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি।
জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক আবুল কাসেম খান বলেন, ‘অর্থনীতির গতি বেশ আগেই কমে গেছে। সে জায়গা থেকে বের হতে পারেনি। শুধু রপ্তানি খাত আগের ধারা ধরে রেখেছে। মূল্যস্ফীতিও প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি। এ জন্য মানুষের চাহিদা কমে এসেছে। কখন নির্বাচন হবে তার জন্যও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ এখন অপেক্ষা করছেন। এ ছাড়া আগের মতো ভুয়া ঋণ বিতরণ হচ্ছে না। এটিও ঋণ কমে যাওয়ার একটি কারণ।’
আবুল কাসেম খান আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই খরচ বাড়ুক। সেটা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে। তাতে কর্মসংস্থান হবে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। তবে সেটা এখন হচ্ছে না। অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার এলেই বিনিয়োগ শুরু হবে।’
একাধিক ব্যাংকের ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন কমে গেছে। এর ফলে রড-সিমেন্টের বিক্রি কমেছে। সরকারি-বেসরকারি প্রায় ২৫টি ব্যাংক ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন কোনো ঋণ যাচ্ছে না। নির্বাচন হয়ে গেলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, বিষয়টা এত সহজ না। কারণ, ঋণ যারা দেবে তাদের কাছে ঋণযোগ্য তহবিল কম।