ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 25th, June 2025 GMT
নোয়াখালীর মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর গ্রামের মৌতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম শুভজিৎ মণ্ডল (১৯)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মণ্ডলের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ক্রেতা সেজে র্যাবের অভিযান, ৬৭টি কড়িকাইট্টা কচ্ছপ উদ্ধার
পুলিশের ব্রিফিং
নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ভুক্তভোগী নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সাতক্ষীরার শুভজিতের। নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
গত ৭ মে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ডেকে নেন শুভজিৎ। তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানে কিশোরীর কাছ থেকে গয়না ও টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন তিনি। একপর্যায়ে আবাসিক হোটেলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে যৌনপল্লীর এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেন শুভজিৎ।
ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা গত ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার অপর আসামি সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জয়া নন, অমিতাভের প্রথম প্রেম ছিলেন অন্য নারী
অমিতাভ বচ্চন আর জয়া বচ্চনের বিবাহিত জীবন পেরিয়েছে ৫০ বছরেরও বেশি সময়। ১৯৭১ সালের ‘গুড্ডি’ ছবির সেটে প্রথম পরিচয়, এরপর প্রেম আর বিয়ে। তবে জয়া বচ্চন তাঁর জীবনের প্রথম প্রেম নন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারকাদের জীবনীকার হানিফ জাভেরি জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ে পা রাখার আগেই কলকাতায় কর্মজীবনের শুরুর দিকে অমিতাভের জীবনে এসেছিলেন এক তরুণী—মায়া। কিন্তু ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মুক্তির আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কলকাতা থেকে শুরু প্রেমের গল্প
ইউটিউব চ্যানেল মেরি সখীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানিফ বলেন, ‘তখন অমিতাভ বচ্চন কলকাতায় কাজ করতেন, মাসে আয় হতো ২৫০-৩০০ রুপি। সে সময় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে কর্মরত ছিলেন মায়া। অমিতাভ তাঁকে ভীষণ ভালোবাসতেন, আর মায়াও তাঁকে ভালোবাসতেন।’