সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে জুতাপেটা করার ঘটনায় গ্রেপ্তার উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হানিফকে (৩৮) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। এদিন আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সহায়তায় আসামি হানিফকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ স্বীকার করে, তিনি ঘটনার দিন কে এম নুরুল হুদার বাসায় প্রবেশ করে তাকে মারধর করেন এবং গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন।

কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ২২ জুন উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে সাবেক সিইসিকে এম নুরুল হুদার ওপর অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বিমানবন্দর থানায় নিয়ে যায় এবং পরে ডিবি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

পরে জানা যায়, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা রয়েছে এবং তিনি সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে এ ঘটনায় যেসব হামলাকারী তার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে বেআইনি জনতাবদ্ধে হেনস্তা করেছে, তারা দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩ ও ৫০০ ধারায় অপরাধ করেছে বলে মামলা দায়ের করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম ন র ল হ দ

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি দোকান ও একটি কারখানা

নোয়াখালীর সেনবাগে একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ অন্তত ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে উপজেলার সেবারহাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে। 

ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১টার দিকে সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন আশপাশের ১১টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধলাই নদীতে বাল্কহেড ডুবে ২ শ্রমিক নিখোঁজ

মানিকগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুন, ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ অন্তত ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  

সেনবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো.সাব্বির হোসেন বলেন, ‍“পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ