আল-আকসায় দুই শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর হানা
Published: 26th, June 2025 GMT
ফের জোরপূর্বক পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেছে শত শত অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। বুধবার (২৫ জুন) মসজিদ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ খবর জানিয়েছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় ২১৭ জন অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে।
স্থানীয় অধিকার গোষ্ঠী ওয়াদি হিলওয়েহ ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, ১২৪ জন বসতি স্থাপনকারী সকালে মসজিদে জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং ৯৩ জন বিকেলের দিকে সেখানে প্রবেশ করে।
আরো পড়ুন:
জর্ডান উপত্যকায় মহড়া চালাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বাতিল করার আহ্বান ট্রাম্পের
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় বসতি স্থাপনকারীরা মসজিদ প্রাঙ্গনে উস্কানিমূলক তালমুদিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছে। এটি ইহুদিদের ‘সাপ্তাহিক উৎসব’ নামেও পরিচিত।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের সময় জরুরি অবস্থা জারির কারণে ১২ দিন বন্ধ থাকার পর মসজিদটি পুনরায় খোলার পর বসতি স্থাপনকারীদের ফের এই হানার ঘটনা ঘটলো।
ইসলামিক এনডাউমেন্ট বিভাগের আপত্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ২০০৩ সালে আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া শুরু করে ইসরায়েল।
আল-আকসা মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে ডাকে এবং দাবি করে, এটি প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো এটি স্বীকৃতি দেয়নি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল স থ পনক র আল আকস ইসর য মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। পরীক্ষার প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার মোট ১৯ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর এ পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ পরীক্ষার্থী।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এবার মোট পরীক্ষার্থী গতবারের চেয়ে ৮১ হাজারের বেশি কমেছে। তিন বছরের মধ্যে এবারই পরীক্ষার্থী সবচেয়ে কম। এ ছাড়া দুই বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও সোয়া চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন না।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আজ এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৫১৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন কোরআন মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষায় ৪ হাজার ১৯৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন বাংলা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
অবশ্য কী কারণে এসব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ছাড়া অসদুপায়ের জন্য প্রথম দিন ৪৩ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ ১৬ জুন ২০২৫গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও তুলনামূলক অনুপস্থিতি বেশি ছিল। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এই পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষায় নিজেদের বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৫০ জন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য পাওয়া এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৪১ শতাংশের (৫৪৯) বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশই ছাত্রী। ৩ শতাংশ ছেলে পরীক্ষার্থী বিয়ে করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুপস্থিতির প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ। এ ছাড়া পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া, অসুস্থতা, প্রস্তুতি ভালো না থাকাসহ নানা কারণে বাকিরা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
এইচএসসি পরীক্ষা দেখতে আজ রাজধানীর ভাষানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সবাই সচেতন থাকলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রতিবারই হুমকি থাকে, এবারও আছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার মতো এইচএসসি পরীক্ষাতেও তাঁরা তৎপর আছেন।
আরও পড়ুনএইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিচ্ছেন না সোয়া ৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ১৭ জুন ২০২৫