হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বগুড়ার আইনজীবী
Published: 27th, June 2025 GMT
মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বগুড়া জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মন্ডল।
আগামী রবিবার (২৯ জুন) তিনি ফৌজদারি আদালতে মামলাটি করবেন। শুক্রবার (২৭ জুন) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তিনি নিজেই এ কথা জানান।
আরো পড়ুন: হিরো আলমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিলেন রিয়া মনি-মিথিলা
আরো পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ সেবন করে গুরুতর অসুস্থ হিরো আলম
হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টা: জামিন পেলেন রিয়া মনি ও কামরুল
অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মন্ডল জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা একটি ফৌজদারি অপরাধ। আত্মহত্যা প্রতিরোধে ৩০৯ ধারার একটি আইন আছে। এই আইনে মামলা হলে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যক্তির এক বছরের জেল এবং অর্থদণ্ড হতে পারে। আত্মহত্যার চেষ্টা প্রতিরোধে এই উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে হিরো আলমকে তার বন্ধুর বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেল ৪টায় হিরো আলমের সাবেক স্ত্রী রিয়া মনি এবং কথিত স্ত্রী মিথিলা হাসপাতাল থেকে হিরো আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান।
হিরো আলম যে বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন, তিনি বলেন, “গতকাল ৩টায় হিরো আলম আমার বাড়িতে এসে রিয়া মনিকে নিয়ে হতাশার কথা বলেন। তিনি যেখানে যান, সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন, নানা প্রশ্ন করেন বলে জানান। একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে তিনি আমার এখানে এসেছিলেন। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই হিরো আলম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
হিরো আলমকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটি উপ-পরিচালক। তিনি বলেন, “বিকেল ৪টার দিকে রিয়া মনি হিরো আলমকে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে নিয়ে গেছেন।”
দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেয় বা আত্মহত্যার উদ্দেশে কোনো কাজ করে, সেই ব্যক্তির এক বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ র আলম আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।