কুমিল্লার মুরাদনগরে পাশবিক নির্যাতনের শিকার সেই নারীকে সরকার সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

উপদেষ্টা বুধবার মুরাদনগরে এসে এই আশ্বাস দেন। অবশ্য ভুক্তভোগী নারী ঘটনাস্থল বাবার বাড়িতে না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি উপদেষ্টার। পরে তিনি মুঠোফোনে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে এ আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রাতে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ সময় স্থানীয় কিছু লোক ফজর আলীর পাশাপাশি ওই নারীকেও মারধর করেন। বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ মুরাদনগরে আসেন। এ সময় ভুক্তভোগী বাড়িতে না থাকায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীনের মুঠোফোনে তিনি নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বসে উপদেষ্টা মুঠোফোনে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন।

‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের ঘোষণা

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে উপজেলার কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা। এ সময় নারী নির্যাতন ও হয়রানি রোধ এবং নারী ও শিশুদের দ্রুততম সময়ে উদ্ধার, আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ইউএনওকে প্রধান করে মুরাদনগর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের ঘোষণা দেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মুরাদনগর থেকেই ‘কুইক রেসপন্স টিমের’ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

মুরাদনগরের ইউএনও মো.

আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনএ-ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সারাওয়াত মেহজাবীন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন, মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক, মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র দনগর থ কর মকর ত উপদ ষ ট ওই ন র এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • লালবাগে ছারপোকা মারার ওষুধের গ্যাসের প্রভাবে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র